Monday, December 23, 2024
Home Blog Page 9

সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ‘স্থবির’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

0

সার্বজনীন পেনশনে ‘প্রত্যয়’ স্কিমকে ‘বৈষ্যম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রহ্যারেরর দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সশরীরে এবং সান্ধ্যকালীন ক্নাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া মিডটার্ম, ফাইনাল, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো ধরনের পরীক্ষাই নেওয়া হচ্ছে না।

কর্মবিরতির প্রথম দিনে সোমবার দুপুরে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাশরিক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান থাকবে। এ কর্মসূচির সাথে নতুন কোনো কর্মসূচি যুক্ত হবে কি না, তা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নতুন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে রোববার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। বিকালে শিক্ষক সমিতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাতটি কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

কর্মসূচি

• জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের/ইন্সটিউটের ক্লাস সমূহ বন্ধ থাকবে

• অনলাইন, সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

• মিডটার্ম, ফাইনাল, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবেনা।

• বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে। অ্যাকাডেমিক কমিটি, পরিকল্পনা কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় ও অন্যান্য সভা অনুষ্ঠিত হবেনা।

• ভর্তি পরীক্ষা সহ ডিন অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

• কোন সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে না।

• দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন ডাকার কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন।

বাংলা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিদুয়ান ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,

“নিজেদের স্বার্থচিন্তার পাশাপাশি আমাদের কথাও ভাবা উচিত শিক্ষকদের। কোভিড মহামারীর কারণে ইতোমধ্যে আমরা প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেছি। ২০২৩ সালে আমাদের অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল, ২০২৪ এ এখন আমরা চতুর্থ বর্ষে।

“এখন শেষ বর্ষে এসে যদি আবার আটকা পড়ি, তাহলে তো চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ব। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে, দেশের বাইরে যাবে অনেকে। আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে সবাই তো পিছিয়ে পড়বে প্রতিযোগিতামূলক জায়গাগুলো থেকে।”

অধিকাংশ বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল জুলাইয়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের এই আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে হওয়া নিয়ে শঙ্কিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন কৃষ্ণ দেব।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই শিক্ষার্থী বলেন, “ ১০ জুলাই থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা আমাদের। আমরা যাদের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে ঢোকার পরিকল্পনা করছি তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ স্বাভাবিকভাবেই দেরি হয়, এখন আরো দেরি হবে। সব থেকে বড় যেই বিষয়ে শিক্ষকগণ বেতনভাতা সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে এরপর তাদের নির্ধারিত কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমরা শিক্ষার্থীরা তো কোন অন্যান্য করিনি, তবে আমাদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।”

আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দিকটাও যাতে নজরে আনতে শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

৩ জুলাই থেকে অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এখন পরীক্ষা হবে কি হবে না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী অপূর্ব কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চেয়ারম্যান স্যার বলেছেন, দাবি আদায় হলে পরীক্ষা হবে, নয়তো হবেনা। এটা কেমন কথা? বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই এমন খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।”

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাশরিক হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে ইতোমধ্যে তারা একটি মিটিং করেছেন।

“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের দাবি আদায় হয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস, অনলাইন ক্লাস নিয়ে ক্ষতিটা পূরণ করবো।’

গত মার্চ মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা।

শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, এ স্কিম ‘বৈষম্যমূলক’। এতে আগামী ১ জুলাই এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল না হওয়ায় রোববার সারাদেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা আসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত

0

পর্দা নামল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সবচেয়ে বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা নাটকীয় ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের আসর। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল ভারত। আর এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অনন্য এক রেকর্ড গড়ল রোহিতরা। যা নেই আর কোনো দলের।

এবারই প্রথম আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ট্রফি জিতলে এটিই হতো তাদের প্রথম বিশ্বকাপ। আগেই জানা গিয়েছিল যে, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা যে দলই জিতুক না কেন, এবারই প্রথমবার কোনো দল অপরাজিত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে। ফাইনালসহ এবারের আসরে খেলা নয়টি ম্যাচের সবগুলো ম্যাচই জিতেছে ভারত।

ভারত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০৭ সালে এই ফরম্যাটের প্রথম আসরে। তাই, আজ শেষ হলো তাদের ১৭ বছরের প্রতীক্ষা। অন্যদিকে, ১৯৯২ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেললেও এবারই প্রথম ফাইনালে উঠতে পেরেছে প্রোটিয়ারা। তবে, এবারও খালি হাতেই ফিরতে হলো প্রোটিয়াদের। এর আগে শ্রীলঙ্কা ২০০৯ সালে, অস্ট্রেলিয়া ২০১০ সালে এবং ভারত ২০১৪ সালে পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি।

নাইজেরিয়ায় আত্মঘাতী হামলায় ১৮ জন নিহত

0

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একাধিক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ১৯ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ জুন) এসব হামলা ঘটে। জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনটি হামলার একটি গোওজা শহরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে চালানো হয়। এক শিশুকে পিঠে বেঁধে নিয়ে এক নারী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার চলাকালে বিস্ফোরণ ঘটায়। অপর হামলাগুলো একটি হাসপাতাল এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে আহতদের লক্ষ্য করে চালানো হয়।

বর্নো রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছে।

সংস্থার প্রধান বারকিন্ডো সাইদো বলেছেন, নিহতদের মধ্যে শিশু, গর্ভবতী নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। মারাত্মক আহত ১৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বোকো হারাম জঙ্গিরা ২০১৪ সালে গোওজা শহরটি দখল করে। পরে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে চাদের বাহিনীর সহায়তায় গোওজা পুনরুদ্ধার করে। তবে সে সময় থেকে বোকো হারাম এ অঞ্চলে তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। অব্যাহত সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ২০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কেবল নাইজেরিয়ায় নয়, সহিংসতা ছড়িয়েছে নাইজার, ক্যামেরুন ও চাদে।

বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা

0

বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) ইতিবাচক প্রবণতায় দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টকাা। পাশপাাশি লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকায়। যা সপ্তাহের শুরুতে উদ্বোধনী মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ শতাংশ বা ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির এবং ৬৪টির দর কমেছে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাইটেক।সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬.২০ শতাংশ।

অপরদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের। এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর কমেছে ১৫.৭৯ শতাংশ।

ভারতের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক দুর্বলতার পরিচয় দিচ্ছে?

0

বাংলাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো দাবি করছে ভারতের সাথে আলোচনায় নিজেদের দাবি বা স্বার্থ আদায়ে কূটনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে না বাংলাদেশ। তারা মনে করেন, এ কারণেই ভারত তার চাওয়াগুলো আদায় করতে পারলেও বিনিময়ে বাংলাদেশ কী পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বিরোধী নেতারা বলছেন সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তৈরি হওয়া ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির’ কারণেই আলোচনার টেবিলে শক্তভাবে কথা বলতে পারছে না বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

“ভারতীয়দের সামনে সরকার দুর্বল বলেই কূটনীতিকরা কাজ করতে পারে না। আর সে কারণেই ভারত তার ইচ্ছেমতো সব কিছু পাচ্ছে,” বলছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন অবশ্য বলছেন কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্বলতা নেই, তবে ব্রিটিশদের হাতে তৈরি ভারতীয় আমলাতন্ত্র ‘দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় পুষ্ট এবং অনেক পরিপক্ব’।

“বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেকটাই ভিন্ন। এখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ অত্যন্ত নিবিড়। তাদের মধ্যে ক্যারিশম্যাটিক একটি সম্পর্ক থাকায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা কম। এজন্যই স্থল সীমান্ত চুক্তির মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়ন করা গেছে। এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এসেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলছেন পলিসি লাইন সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসে এবং কূটনীতিকরা সেটিকে বাস্তবায়নে কাজ করেন।

“সেক্ষেত্রে রাজনীতিকরা যতটুকু স্পেস দেন, কূটনীতিকরা সেটুকুই প্রয়োগ করতে পারেন। তবে কূটনীতিকদের পেশাগত মতামত ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশনার সমন্বয় হলে আলোচনার টেবিলে শক্ত অবস্থান তৈরি করা যায়।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দুই দেশের মধ্যে দশটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সামাজিক মাধ্যমে রেল ট্রানজিটসহ কিছু বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার।

বক্তৃতা বিবৃতিতে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাগুলোতে বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছেন না।

প্যারাগুয়েকে ৪:১ হারিয়েছে ব্রাজিল

0

নেভাদায় আজ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে পরপর দুইবার আক্রমণে যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যদিও শেষ পর্যন্ত গোল আসেনি। সমালোচনার জবাব দিতেই হয়তো আজ শুরু থেকে গতিময় ও প্রত্যয়ী ছিলেন ভিনি।

প্যারাগুয়ে চেষ্টা করছিল ভিনিসহ ব্রাজিলের আক্রমণের গতি নষ্ট করার। ১৫ মিনিটে অবশ্য খেলার ধারার বিপরীতে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল প্যারাগুয়ে। বক্সের বাইরে থেকে দামিয়ান বোবাদিয়ার শট ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে জালে জড়াতে গেলে দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন আলিসন। প্যারাগুয়ে এ সময় চেষ্টা করছিল বল নিজেদের পায়ে রেখে ব্রাজিলকে সহজাত খেলাটা খেলতে না দেওয়ার।

এর মধ্যে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ম্যাচের ৩০ মিনিটে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসে প্যারাগুয়ে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। পেনাল্টি মিস করেন লুকাস পাকেতা। কিন্তু ৩৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল।

ম্যাচের শুরু থেকে গতিময় ও দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভিনিসিয়ুস দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে প্যারাগুয়ে। পরপর দুবার আক্রমণেও যায় তারা। কিন্তু সমতা ফেরাতে পারেনি।

উল্টো ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও আদায় করে নেয় তারা। দারুণ এক আক্রমণ থেকে শুরুতে রদ্রিগোর শট প্রতিহত হলেও ফিরতি শটে ঠিকই বল জালে জড়ান সাভিও। এই গোলের পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা সংঘাতেও জড়ায়। তবে গোল ও সংঘাতের রেশ কাটার আগেই বিরতির আগ মুহূর্তে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল আদায় করে নেন ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলের বিদ্যুৎ গতির আক্রমণে রদ্রিগোকে ঠেকিয়ে দেয় প্যারাগুয়ে ডিফেন্স, কিন্তু ছুটে শটে দারুণ এক শটে ঠিকই গোল আদায় করে নেন ভিনিসিয়ুস।

বিরতির পর ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ওমর আলদারেতের দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান ৩-১ করে ব্রাজিল। এক গোল শোধ করে ব্রাজিলের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে প্যারাগুয়ের। এর মধ্যে আলিসন বাধা না হলে ব্যবধান ৩-২ করতে পারত প্যারাগুয়ে। তবে প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় গোল না পেলেও ব্রাজিল ঠিকই চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেয়। ৬৩ মিনিটে ফের বক্সের ভেতর হ্যান্ডবলের কারণে ফের পেনাল্টি উপহার পায় ব্রাজিল।

প্রথমবারের মতো এবারও শট নিতে আসেন পাকেতা। তবে এবার আর ভুল করেননি। ব্রাজিলকে এনে দেন ম্যাচের চতুর্থ গোল। চার গোল খেয়ে ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ ছিল না প্যারাগুয়ের। উল্টো ৮১ মিনিটে প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার কুবাস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় প্যারাগুয়ের জন্য। যদিও আর কোনো গোল হজম করেনি তারা।

আফগানদের হারিয়ে প্রথম বার ফাইনালে আফ্রিকা

0

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫৬ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ৮.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হলো প্রোটিয়াদের। এবারের আসরে খেলা আট ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ৫ রানের মাথায় ফজল হক ফারুকীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। ৮ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর এইডেন মার্করামকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন রেজা হেনরিকস। এই দুইজনের ব্যাটে ৬৭ বল হাতে রেখে সহজেই জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানরা। প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মার্কো ইয়ানসেন। প্রথম ওভারের শেষ বলে তার করা ফুল লেংথ ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভের চেষ্টা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে, সফল হতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। খুলতে পারেননি রানের খাতাই।

এরপর ক্রিজে এসেও থিতু হতে পারেননি আরেক ব্যাটার গুলবাদিন নাইব। তাকে ফিরিয়ে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন ইয়ানসেন। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্প লাইনে পিচ করে হালকা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে পরাস্ত নাইব বোল্ড হয়ে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। ৮ বল ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই সাফল্য পান তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি। এরপর চাপ সামাল দেওয়ার দায়িত্বটা পরে মোহাম্মদ নবীর ওপর। তবে, তিনিও থিতু হতে পারেননি। রাবাদার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারির কোনো জবাবই দিতে পারলেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। স্টাম্প উড়িয়ে নিজের প্রথম ওভারে জোড়া সাফল্যের আনন্দে মাতলেন রাবাদা। সবমিলিয়ে মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। মাঝে আরও দুই উইকেট হারায় আফগানরা।

ত্রিশের আগে ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার অভিযানে কিছুটা পথ এগিয়েছিলেন রশিদ খান ও কারিম জানাত। তবে তাদের বেশি দূর যেতে দেননি তাবরিজ শামসি। দশম ওভারে আক্রমণে এসেই ২২ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার। এক বল পর নুর আহমেদকে ফেরান শামসি। ৫০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে আফগানিস্তান। এরপর শামসির ফুল লেংথে করা টার্নিং ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি জানাত। জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। দ্রুত রিভিউ নেন আফগান অলরাউন্ডার। রিপ্লেতে দেখা যায়, ‘উইকেট’র বেলায় এসেছে আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ আম্পায়ার নট আউট দিলে হয়তো বেঁচে যেতেন ১৩ বলে ৮ রান করা জানাত।

আগের ওভারেই আনরিক নরকিয়ার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল রশিদ খানের। নতুন ওভারে বোলিংয়ে এসে দারুণ ডেলিভারিতে রশিদকে বোল্ড করে যেন ব্যক্তিগত লড়াইটি শেষ করলেন নরকিয়া।  ২ চারে ৮ বলে ৮ রান করে ফেরেন রশিদ। ৫০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ৫৬ রানে থামে দলটি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

0

আজ সোমবার (২৪ জুন) অ্যান্টিগার স্যার রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে, বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১৬.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ উইকেটের জয়ে শীর্ষে থেকেই সেমি নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা।

১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনরিকস। তবে, দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা না খুলেই রাসেলের বলে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর একই ওভারে ডি কককে ফেরান রাসেল। ৭ বলে ১২ রানের বেশি আসেনি তার ব্যাট থেকে।

এরপরই বৃষ্টির হানা। প্রায় ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে খেলা। যার ফলে কাটা পড়ে ৩ ওভার। ১৭ ওভারে প্রোটিয়াদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৪২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন এইডেন মার্করাম। ১৫ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেন ত্রিস্টান স্টাবস ও হেনরিখ ক্লাসেন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩৫ রান।

দলীয় ৭৭ রানের মাথায় ক্লাসেনের বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। এরপর দলীয় ৯৩ রানে আরেক বিশ্বস্ত ব্যাটার ডেভিড মিলারের বিদায়ে বিপাকে পড়ে দলটি। ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি। শেষ ৩০ বলে তখন প্রয়োজন ২৯ রান।

যে বিপদ আরও বাড়ে স্টাবসের বিদায়ে। দলীয় ১০০ রানে বিদায় নেন এই ব্যাটার। পুরো চিত্র একাই বদলে দেন স্পিনার রোস্টন চেজ। মাত্র দুই ওভারেই তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষমেশ লেজের সারির ব্যাটারদের দৃঢ়তায় জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ২ রানের মাথায় শাই হোপের উইকে হারায় দলটি। এরপর ৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ব্যাটার নিকোলাস পুরাণ। শুরুতে এই দুই উইকেট হারালেও পরবর্তীতে দারুন এক জুটি গড়ে ক্যারিবীয়রা। ৮১ রানের জুটি গড়েন কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেজ। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন মায়ার্স।

আর তার বিদায়ের পর ফেরেন আরেক ব্যাটার রোভম্যান পাওয়েল। ২ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ১৩৫ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্পিনার তাবরিজ শামসি।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও লড়াই চলবে

0

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, হামাসের সঙ্গে ‘আংশিক’ যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য তার দেশ প্রস্তুত। হামাস সব পণবন্দিকে মুক্তি না দিলেও কিছুসংখ্যক পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে হলেও তিনি গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি করতে আগ্রহী। গতকাল রোববার (২৩ জুন) ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই কথা জানান।নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো পণবন্দিদের হামাসের কবল থেকে ফিরিয়ে আনা এবং গাজায় হামাসকে শাসন ব্যবস্থা থেকে উৎখাত করা।’ তিনি আরও জানান, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এমন কোনো চুক্তিতে তিনি রাজী নন। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের পণবন্দি প্রত্যাবর্তন চুক্তি হলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পথ তৈরি হবে।
এদিকে, গত শনিবার (২ জুন) থেকে চরম মাত্রায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নেমেছে ইসরায়েলের সাধারণ জনগণ।  দফায় দফায় ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে হাজার হাজার ইসরায়েলি নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করছে। তাদের দাবি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং বন্দিদের ফেরত আনার জন্য কার্যকর চুক্তির বাস্তবায়ন করা।

গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব ঘোষণা করেছিলেন।  সেখানে উল্লেখ্য করা হয়, ছয় সপ্তাহের জন্য গাজায় যুদ্ধ বিরতির পাশাপাশি হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের ‍মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে। এই চুক্তি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনার পথ সুগম করবে।

যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু চ্যানেল-১৪ কে আরও বলেন, ‘রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান প্রায় শেষ। হামাসের বিরুদ্ধেও যুদ্ধের তীব্র পর্যায় শেষের পথে। এর অর্থ এই নয় যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে, আমরা রাফায় ভয়াবহ সামরিক অভিযানের সমাপ্তি টানছি।  গাজা থেকে হামাসকে উৎখাত করে আমরা স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের নিয়ে একটি বেসামরিক প্রশাসন গঠন করতে চাই যাতে গাজায় মানবিক সাহায্যপণ্য সরবরাহ বজায় থাকে এবং পরে বেসামরিক জনগণের জন্য সুষ্ঠু ও সুন্দর বাসস্থান তৈরি করা যায়।’

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ৩৭ হাজার ৫৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ প্রতিদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। ভেঙে পেড়েছে খাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কাজ।

বড় ধরনের মুনাফা করেছে ৮ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী

0

চলতি বছরের মে মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮টি কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় পরিমাণে মুনাফা তুলেছে। আলোচ্য মাসে তারা কোম্পানিগুলোর ৫.২৬ শতাংশ থেকে ১১.৩৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো-সেন্ট্রাল ফার্মা, ই-জেনারেশন, গোল্ডেন সন, লাভেলো আইসক্রীম, মালেক স্পিনিং, ওয়াইম্যাক্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স ও সালভো কেমিক্যাল লিমিটেড।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মে মাসে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ২৫ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এই সুযোগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলেছে।

মে মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ই-জেনারেশনের। আলোচ্য মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ১১.৩৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে। কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল তাদের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৩৭.২১ শতাংশ। যা ৩১ মে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫.৮৪ শতাংশে। আলোচ্য মাসে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইতে ৩২ টাকা থেকে ৫২ টাকায় ওঠেছিল।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মে মাসে এরপর বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ওয়াইম্যাক্সের। আলোচ্য মাসে কোম্পানিটির ১০.৬১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল তাদের শেয়ার ছিল ২১.৫৯ শতাংশ। যা ৩১ মে এসে দাঁড়িয়েছে ১২.১১ শতাংশে। আলোচ্য মাসে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইতে ২৩ টাকা থেকে ৩৪ টাকায় ওঠেছিল।

একইভাবে মে মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার বিক্রি করেছে ৯.৪৮ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ৮.৬৩ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ৭.৬৬ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ৬.৭৪ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রীমের ৬.৩৩ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ফার্মার ৫.২৬ শতাংশ।

বিপরীতে মে মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ১টি কোম্পানিটির শেয়ারে ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কিনেছে। কোম্পানিটি হলো সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স। আলোচ্য মাসে তারা কোম্পানিটির ৮.৩৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। যার ফলে ৩০ এপ্রিল সেন্ট্রাল ইন্সরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থাকা ১৭.২৩ শতাংশ শেয়ার ৩১ মে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫৮ শতাংশে।