Wednesday, July 24, 2024
Home Blog

আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক বাতিল

0

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে আপাতত বৈঠকে বসছেন না।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি হচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।

এর আগে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার বৈঠক হবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে কী কারণে বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে, তা এখনও জানানো হয়নি।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ এ কিছু বিষয় স্পষ্ট করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সংবিধান অনুযায়ী গৃহীত কিছু পদক্ষেপের জন্য ছাড় পাবেন ট্রাম্প

0

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবিধান অনুযায়ী গৃহীত কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচার থেকে ছাড় পাবেন বলে আদেশ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এমন আদেশ দেওয়া হলো। খবর আলজাজিরার।  

এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষায় করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদেশ দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্টরা তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতার মাধ্যমে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য ছাড় পাবেন, তবে ব্যক্তিগতভাবে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য নয়। আদালতে ৯ সদস্যের বেঞ্চে ছয়জনই এই আদেশের পক্ষে এবং বাকিরা বিরোধিতা করেন। দেশটির ইতিহাসে এবারই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা যেকোনো ক্ষেত্রে অপরাধের অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত ২০২০ সালের ভোটের ফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগের মামলায় ট্রাম্পের সুরক্ষা বাড়বে। ওই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী বাইডেনের কাছে হেরে যান। সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশে জর্জিয়াতে অনুরূপ অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে নির্বাচনি হস্তক্ষেপের অভিযোগের মামলাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

আদালতের এই আদেশকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের সংবিধান ও গণতন্ত্রের বড় জয়। একজন আমেরিকান হিসেবে গর্বিত।’ 

সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশের পক্ষে বিচারকরা যুক্তি দেন, সাবেক প্রেসিডেন্টদের তাদের কার্যালয়ে করা অফিসিয়াল কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা চালানো হলে, তা রাজনৈতিক প্রতিশোধ ও স্বৈরাচারের দরজা খুলে দিতে পারে।

আদেশে বিচারকরা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট তার আনফিসিয়াল পদক্ষেপের জন্য কোনো ছাড় পাবেন না এবং প্রেসিডেন্ট যা করেন সবই সরকারি নয়। প্রেসিডেন্ট আইনের ঊর্ধ্বে নন। তবে, কংগ্রেস সংবিধানের অধীনে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালনে প্রেসিডেন্টের আচরণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে পারে না।’

বিচারকরা জোর দিয়ে বলেন, ‘এই ছাড় শুধু ট্রাম্পের জন্য নয়, বরং রাজনীতি এবং দল-মত নির্বিশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টের জন্য প্রযোজ্য।’

এ আদেশকে সমর্থন করা ছয় বিচারকের মধ্যে তিনজনকে ট্রাম্পই নিয়োগ করেছিলেন। তবে বিচারক সোনিয়া সোটোমায়র সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে দেওয়া এ আদেশকে প্রত্যাখ্যান করে যুক্তি দেন, এই রায় ক্ষমতার অপব্যবহারকে বৈধ করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারক সোনিয়া লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দেশের এবং সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি। সংখ্যাগরিষ্ঠের যুক্তির অধীনে তিনি যেকোনো উপায়ে তার সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করলে, তার বিরুদ্ধে এখন ফৌজদারি মামলা করা যাবে না।’

‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা করার জন্য নৌবাহিনীর সিল টিম ৬-কে আদেশ দিলে? ছাড়। ক্ষমতা ধরে রাখতে সামরিক অভ্যুত্থান সংগঠিত করলে? ছাড়। দণ্ডিতকে ক্ষমার বিনিময়ে ঘুষ নিলে? ছাড়। ছাড়, ছাড়, ছাড়’, যোগ করেন বিচারক সোনিয়া সোটোমায়র। 

বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতা সোমবার শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এই আদেশকে ‘আমেরিকান গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড়ধসে যান চলাচল বন্ধ

0

টানা বৃষ্টিতে সড়কের ওপর পাহাড়ধসের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে আটকা পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পর্যটকেরা।সড়কের দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপাহার এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোরে সাপাহার এলাকায় হঠাৎ করে সড়কের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এতে সড়ক বন্ধ হয়ে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও পর্যটকেরা।  

ঢাকা থেকে গতকাল রাতে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে আটকা পড়েছেন মল্লিকা চাকমা নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোর থেকে গাড়িতে আছি। সকাল সাতটার দিকেও কেউ মাটি সরাতে আসেনি। আর কতক্ষণ লাগতে পারে জানি না।’

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া। আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন, সড়ক বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মিলে সড়কের মাটি সরানোর কাজ করছেন। আধা ঘণ্টার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

0

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা বজায় রাখতে হবে।’

আজ সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, বাজেট পাশ হয়েছে তাই এর সঠিক বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গতকাল রোববার (৩০) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়। সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২৪ পাসের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন। আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর শুরু হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ স্লোগান সংবলিত এই বাজেট পেশ করেন।

সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ‘স্থবির’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

0

সার্বজনীন পেনশনে ‘প্রত্যয়’ স্কিমকে ‘বৈষ্যম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রহ্যারেরর দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সশরীরে এবং সান্ধ্যকালীন ক্নাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া মিডটার্ম, ফাইনাল, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো ধরনের পরীক্ষাই নেওয়া হচ্ছে না।

কর্মবিরতির প্রথম দিনে সোমবার দুপুরে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাশরিক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান থাকবে। এ কর্মসূচির সাথে নতুন কোনো কর্মসূচি যুক্ত হবে কি না, তা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নতুন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে রোববার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। বিকালে শিক্ষক সমিতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাতটি কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

কর্মসূচি

• জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের/ইন্সটিউটের ক্লাস সমূহ বন্ধ থাকবে

• অনলাইন, সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

• মিডটার্ম, ফাইনাল, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবেনা।

• বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে। অ্যাকাডেমিক কমিটি, পরিকল্পনা কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় ও অন্যান্য সভা অনুষ্ঠিত হবেনা।

• ভর্তি পরীক্ষা সহ ডিন অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

• কোন সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে না।

• দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন ডাকার কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন।

বাংলা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিদুয়ান ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,

“নিজেদের স্বার্থচিন্তার পাশাপাশি আমাদের কথাও ভাবা উচিত শিক্ষকদের। কোভিড মহামারীর কারণে ইতোমধ্যে আমরা প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেছি। ২০২৩ সালে আমাদের অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল, ২০২৪ এ এখন আমরা চতুর্থ বর্ষে।

“এখন শেষ বর্ষে এসে যদি আবার আটকা পড়ি, তাহলে তো চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ব। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে, দেশের বাইরে যাবে অনেকে। আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে সবাই তো পিছিয়ে পড়বে প্রতিযোগিতামূলক জায়গাগুলো থেকে।”

অধিকাংশ বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল জুলাইয়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের এই আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে হওয়া নিয়ে শঙ্কিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন কৃষ্ণ দেব।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই শিক্ষার্থী বলেন, “ ১০ জুলাই থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা আমাদের। আমরা যাদের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে ঢোকার পরিকল্পনা করছি তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ স্বাভাবিকভাবেই দেরি হয়, এখন আরো দেরি হবে। সব থেকে বড় যেই বিষয়ে শিক্ষকগণ বেতনভাতা সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে এরপর তাদের নির্ধারিত কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমরা শিক্ষার্থীরা তো কোন অন্যান্য করিনি, তবে আমাদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।”

আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দিকটাও যাতে নজরে আনতে শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

৩ জুলাই থেকে অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এখন পরীক্ষা হবে কি হবে না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী অপূর্ব কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চেয়ারম্যান স্যার বলেছেন, দাবি আদায় হলে পরীক্ষা হবে, নয়তো হবেনা। এটা কেমন কথা? বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই এমন খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।”

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাশরিক হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে ইতোমধ্যে তারা একটি মিটিং করেছেন।

“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের দাবি আদায় হয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস, অনলাইন ক্লাস নিয়ে ক্ষতিটা পূরণ করবো।’

গত মার্চ মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা।

শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, এ স্কিম ‘বৈষম্যমূলক’। এতে আগামী ১ জুলাই এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল না হওয়ায় রোববার সারাদেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা আসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত

0

পর্দা নামল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সবচেয়ে বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা নাটকীয় ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের আসর। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল ভারত। আর এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অনন্য এক রেকর্ড গড়ল রোহিতরা। যা নেই আর কোনো দলের।

এবারই প্রথম আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ট্রফি জিতলে এটিই হতো তাদের প্রথম বিশ্বকাপ। আগেই জানা গিয়েছিল যে, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা যে দলই জিতুক না কেন, এবারই প্রথমবার কোনো দল অপরাজিত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে। ফাইনালসহ এবারের আসরে খেলা নয়টি ম্যাচের সবগুলো ম্যাচই জিতেছে ভারত।

ভারত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০৭ সালে এই ফরম্যাটের প্রথম আসরে। তাই, আজ শেষ হলো তাদের ১৭ বছরের প্রতীক্ষা। অন্যদিকে, ১৯৯২ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেললেও এবারই প্রথম ফাইনালে উঠতে পেরেছে প্রোটিয়ারা। তবে, এবারও খালি হাতেই ফিরতে হলো প্রোটিয়াদের। এর আগে শ্রীলঙ্কা ২০০৯ সালে, অস্ট্রেলিয়া ২০১০ সালে এবং ভারত ২০১৪ সালে পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি।

নাইজেরিয়ায় আত্মঘাতী হামলায় ১৮ জন নিহত

0

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একাধিক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ১৯ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ জুন) এসব হামলা ঘটে। জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনটি হামলার একটি গোওজা শহরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে চালানো হয়। এক শিশুকে পিঠে বেঁধে নিয়ে এক নারী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার চলাকালে বিস্ফোরণ ঘটায়। অপর হামলাগুলো একটি হাসপাতাল এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে আহতদের লক্ষ্য করে চালানো হয়।

বর্নো রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছে।

সংস্থার প্রধান বারকিন্ডো সাইদো বলেছেন, নিহতদের মধ্যে শিশু, গর্ভবতী নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। মারাত্মক আহত ১৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বোকো হারাম জঙ্গিরা ২০১৪ সালে গোওজা শহরটি দখল করে। পরে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে চাদের বাহিনীর সহায়তায় গোওজা পুনরুদ্ধার করে। তবে সে সময় থেকে বোকো হারাম এ অঞ্চলে তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। অব্যাহত সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ২০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কেবল নাইজেরিয়ায় নয়, সহিংসতা ছড়িয়েছে নাইজার, ক্যামেরুন ও চাদে।

বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা

0

বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) ইতিবাচক প্রবণতায় দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টকাা। পাশপাাশি লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকায়। যা সপ্তাহের শুরুতে উদ্বোধনী মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ শতাংশ বা ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির এবং ৬৪টির দর কমেছে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাইটেক।সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬.২০ শতাংশ।

অপরদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের। এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর কমেছে ১৫.৭৯ শতাংশ।

ভারতের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক দুর্বলতার পরিচয় দিচ্ছে?

0

বাংলাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো দাবি করছে ভারতের সাথে আলোচনায় নিজেদের দাবি বা স্বার্থ আদায়ে কূটনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে না বাংলাদেশ। তারা মনে করেন, এ কারণেই ভারত তার চাওয়াগুলো আদায় করতে পারলেও বিনিময়ে বাংলাদেশ কী পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বিরোধী নেতারা বলছেন সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তৈরি হওয়া ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির’ কারণেই আলোচনার টেবিলে শক্তভাবে কথা বলতে পারছে না বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

“ভারতীয়দের সামনে সরকার দুর্বল বলেই কূটনীতিকরা কাজ করতে পারে না। আর সে কারণেই ভারত তার ইচ্ছেমতো সব কিছু পাচ্ছে,” বলছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন অবশ্য বলছেন কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্বলতা নেই, তবে ব্রিটিশদের হাতে তৈরি ভারতীয় আমলাতন্ত্র ‘দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় পুষ্ট এবং অনেক পরিপক্ব’।

“বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেকটাই ভিন্ন। এখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ অত্যন্ত নিবিড়। তাদের মধ্যে ক্যারিশম্যাটিক একটি সম্পর্ক থাকায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা কম। এজন্যই স্থল সীমান্ত চুক্তির মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়ন করা গেছে। এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এসেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলছেন পলিসি লাইন সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসে এবং কূটনীতিকরা সেটিকে বাস্তবায়নে কাজ করেন।

“সেক্ষেত্রে রাজনীতিকরা যতটুকু স্পেস দেন, কূটনীতিকরা সেটুকুই প্রয়োগ করতে পারেন। তবে কূটনীতিকদের পেশাগত মতামত ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশনার সমন্বয় হলে আলোচনার টেবিলে শক্ত অবস্থান তৈরি করা যায়।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দুই দেশের মধ্যে দশটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সামাজিক মাধ্যমে রেল ট্রানজিটসহ কিছু বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার।

বক্তৃতা বিবৃতিতে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাগুলোতে বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছেন না।

প্যারাগুয়েকে ৪:১ হারিয়েছে ব্রাজিল

0

নেভাদায় আজ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে পরপর দুইবার আক্রমণে যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যদিও শেষ পর্যন্ত গোল আসেনি। সমালোচনার জবাব দিতেই হয়তো আজ শুরু থেকে গতিময় ও প্রত্যয়ী ছিলেন ভিনি।

প্যারাগুয়ে চেষ্টা করছিল ভিনিসহ ব্রাজিলের আক্রমণের গতি নষ্ট করার। ১৫ মিনিটে অবশ্য খেলার ধারার বিপরীতে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল প্যারাগুয়ে। বক্সের বাইরে থেকে দামিয়ান বোবাদিয়ার শট ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে জালে জড়াতে গেলে দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন আলিসন। প্যারাগুয়ে এ সময় চেষ্টা করছিল বল নিজেদের পায়ে রেখে ব্রাজিলকে সহজাত খেলাটা খেলতে না দেওয়ার।

এর মধ্যে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ম্যাচের ৩০ মিনিটে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসে প্যারাগুয়ে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। পেনাল্টি মিস করেন লুকাস পাকেতা। কিন্তু ৩৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল।

ম্যাচের শুরু থেকে গতিময় ও দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভিনিসিয়ুস দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে প্যারাগুয়ে। পরপর দুবার আক্রমণেও যায় তারা। কিন্তু সমতা ফেরাতে পারেনি।

উল্টো ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও আদায় করে নেয় তারা। দারুণ এক আক্রমণ থেকে শুরুতে রদ্রিগোর শট প্রতিহত হলেও ফিরতি শটে ঠিকই বল জালে জড়ান সাভিও। এই গোলের পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা সংঘাতেও জড়ায়। তবে গোল ও সংঘাতের রেশ কাটার আগেই বিরতির আগ মুহূর্তে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল আদায় করে নেন ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলের বিদ্যুৎ গতির আক্রমণে রদ্রিগোকে ঠেকিয়ে দেয় প্যারাগুয়ে ডিফেন্স, কিন্তু ছুটে শটে দারুণ এক শটে ঠিকই গোল আদায় করে নেন ভিনিসিয়ুস।

বিরতির পর ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ওমর আলদারেতের দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান ৩-১ করে ব্রাজিল। এক গোল শোধ করে ব্রাজিলের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে প্যারাগুয়ের। এর মধ্যে আলিসন বাধা না হলে ব্যবধান ৩-২ করতে পারত প্যারাগুয়ে। তবে প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় গোল না পেলেও ব্রাজিল ঠিকই চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেয়। ৬৩ মিনিটে ফের বক্সের ভেতর হ্যান্ডবলের কারণে ফের পেনাল্টি উপহার পায় ব্রাজিল।

প্রথমবারের মতো এবারও শট নিতে আসেন পাকেতা। তবে এবার আর ভুল করেননি। ব্রাজিলকে এনে দেন ম্যাচের চতুর্থ গোল। চার গোল খেয়ে ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ ছিল না প্যারাগুয়ের। উল্টো ৮১ মিনিটে প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার কুবাস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় প্যারাগুয়ের জন্য। যদিও আর কোনো গোল হজম করেনি তারা।