Friday, June 27, 2025
Home Blog

দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান বাম জোটের

0

দেশের স্বার্থবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং ভোটাধিকারসহ নিজেদের অধিকার রক্ষায় সচেতন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একই সঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং জন অধিকার রক্ষায় করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভাটি অনলাইনে হয়।

সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো অনির্বাচিত সরকারের ওপর ভর করে তাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নেতারা। তাঁরা দেশের স্বার্থবিরোধী সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সভায় কালক্ষেপণ না করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

নেতারা বলেন, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এ সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার অবশ্যই করা যাবে এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচারের কাজও দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে।

সভায় নেতারা রাখাইনে করিডর প্রদান এবং চট্টগ্রামের নিউ মুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিলের জোরালো দাবি জানান। এই দাবিগুলো নিয়ে ২৭-২৮ জুন বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় ভারত থেকে ‘পুশ ইন’-এর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান না নেওয়ায় সমালোচনা করা হয় এবং অবিলম্বে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়া আইনগতভাবে মেয়র নির্বাচিত করার বিষয়ে নানা মত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভূমিকার পর ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের শপথ অনুষ্ঠান কেন সম্পন্ন হচ্ছে না, তা নিয়ে দেশবাসী জানতে চায় বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

ঈদের আগে অনেক শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন ও বকেয়া পরিশোধ না করা এবং এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ না করায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। নেতারা বলেন, ১১৭টি কারখানা বন্ধ ও লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হলেও সরকার প্রকৃতপক্ষে কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। তাঁরা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা বৈষম্যহীনতা থাকলেও দিন দিন বৈষম্য বেড়ে চলেছে।

জোটের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে পৌঁছেছেন

0

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এই তথ্য জানান।

সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, তাঁর এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।

১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থেকে নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে: মির্জা ফখরুল

0

যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হবে। ১৩ জুন (শুক্রবার) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হবে। এ বৈঠকে নতুন ‘ডাইমেনশন’ তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন সফরে যাবেন বলে যখন ঘোষণ আসে, তখন থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলোয় এ বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থান, তাতে এটা একটা বড় ইভেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এটার গুরুত্ব অনেক বেশি।’

অনুষ্ঠেয় বৈঠকটিকে এ সময়ের বড় ‘পলিটিক্যাল ইভেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অনেক সুযোগ তৈরি হতে পারে এ বৈঠকে। অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন তৈরি হতে পারে এ বৈঠকে। নতুন একটা দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত নির্বাচনের সময়টা (আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন) ভোটের জন্য ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, রমজানের আগে প্রচার-প্রচারণায় অনেক সমস্যা হবে। প্রতিদিনই ইফতার মাহফিল করা লাগবে। নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হবে। প্রচণ্ড গরমের কারণে সমাবেশে লোকজন আনা যাবে না। রাতে প্রোগ্রাম করতে হবে।

নির্বাচনটা খুব বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অনেকে বলেন বিএনপি সংস্কার চায় না। এটা প্রোপাগান্ডা। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। বিএনপি সংস্কারের জন্য গণ-অভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা দিয়ে রেখেছে।

রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জাতিকে বিভক্ত করবেন না। তাহলে যারা বাইরের শক্তি, যারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তারা সুযোগ পাবে।’

৩১৭ পদে সরকারি নিয়োগ, আবেদন করতে হবে অনলাইনে

0

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতের ০৫ টি পদে মোট ৩১৭ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারেন আপনিও। আবেদন করা যাবে ২৫-০৬-২০২৫ পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম: জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমি (এনএপিডি);

১. পদের নাম: চাইল্ড রাইটস অফিসার;

*পদসংখ্যা: ৬৪টি;

*বেতন: ৪০,০০০ টাকা;

আবেদনের যোগ্যতা— 

*স্নাতকোত্তর ডিগ্রি/ সমমান থাকতে হবে; 

*শিশু সুরক্ষাবিষয়ক কাজে ৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;

*এমএস অফিস ওঃ ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে  অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে; 

*প্রশিক্ষণ পরিচালনায় অভিজ্ঞ ও  দক্ষ হতে হবে;

*জাতিসংঘের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পে, বিশেষভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের যৌথভাবে বাস্তবায়িত শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে;

২. পদের নাম: কমিউনিটি হাব অর্গানাইজার;

পদসংখ্যা: ২৫০টি;

*বেতন: ২০,০০০ টাকা;

আবেদনের যোগ্যতা—

*এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে;

*এমএস অফিস ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে  অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে;

*প্রশিক্ষণ পরিচালনায় অভিজ্ঞ ও  দক্ষ হতে হবে;

*জাতিসংঘের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পে, বিশেষভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের যৌথভাবে বাস্তবায়িত শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

৩.অফিস সহায়ক;

পদসংখ্যা: ১টি;

বেতন: ১৭,৬১০ টাকা;

আবেদনের যোগ্যতা—

*এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে;

*সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করার ৮ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;

*জাতিসংঘের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পে, বিশেষভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের যৌথভাবে বাস্তবায়িত শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

৪. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী;

পদসংখ্যা: ১টি;

বেতন: ১৭,৬১০ টাকা;

আবেদনের যোগ্যতা— 

*৮ম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে;

*সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করার ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;

*জাতিসংঘের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পে, বিশেষভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের যৌথভাবে বাস্তবায়িত শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

৫. পদের নাম: পরিচ্ছন্নকর্মী;

পদসংখ্যা: ১টি;

বেতন: ১৭,৬১০ টাকা;

আবেদনের যোগ্যতা—

*৮ম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে;

*সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করার ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;

*জাতিসংঘের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পে, বিশেষভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের যৌথভাবে বাস্তবায়িত শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র পূরণ করে আগামী ২৫-০৬-২০২৫ তারিখ পর্যন্ত জমা দিতে  পারবেন ।

চাকরির আবেদনের বিস্তারত জানতে ক্লিক করুন এখানে

তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৩৩ জেলা, ভ্যাপসা গরমের ব্যাখ্যা দিল আবহাওয়া অফিস

0

দেশের ৩৩ জেলায় আজ সোমবার তাপপ্রবাহ চলছে। গত শনিবার থেকে এই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল মঙ্গলবার এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে তা কমে অসতে পারে।

দেশের অর্ধেকেরও বেশি অংশজুড়ে তাপপ্রবাহ রয়েছে। তবে অন্য এলাকাতেও ভ্যাপসা গরম পড়েছে। কিছু স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তাতে গরম কমছে না। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা আজ বিকেল ৪টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনিসংহ ও খুলনা বিভাগের সর্বত্র তাপপ্রবাহ চলছে। এর পাশাপাশি ফরিদপুর, মাদারীপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

যে চার বিভাগে আজ তাপপ্রবাহ চলছে সেসব বিভাগে মোট জেলার সংখ্যা ৩০টি। এর পাশাপাশি তিন জেলা মিলিয়ে মোট ৩৩ জেলায় আজ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানান তিনি।

কাজী জেবুন্নছা বলছিলেন, আগামীকাল মঙ্গলবারও তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। তবে বুধবার থেকে তাপপ্রবাহ কমে আসতে পারে। সেই সময় বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ সময় একটি নিম্নচাপও হতে পারে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনার কয়রায়, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এই গরমের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে তাতে গরম কমছে না।

এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলছিলেন, এখন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক। তাই এত গরম। এর আগে গত মাসে সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় যে জলীয় বাষ্প এসেছিল তা এখনো রয়ে গেছে। বৃষ্টি হচ্ছে বিচ্ছিন্নভাবে। একটানা বৃষ্টি না হলে গরমের এ অবস্থা থেকে যাবে। তবে কয়েক দিন পর বৃষ্টি হলে এই অস্বস্তি কেটে যেতে পারে।

নির্বাচন পেছানোর পেছনে কারা, জানতে চাইলেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য এ সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে? প্রশ্নগুলো উঠে আসছে।’

আজ রোববার দুপুরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরে তাঁর মেহেদীবাগের বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। ঈদ উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতিমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। সুতরাং এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি বলা হয়েছে। কেননা, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে সম্ভব (নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা) হবে না। ফলে এ সময়ে (এপ্রিলে) নির্বাচনী দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এপ্রিলে নির্বাচন কাদের স্বার্থে, সে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে যখন একটা নির্বাচিত সরকার থাকে, তখন একটা বিশেষ সময়ে নির্বাচন হয়। একটা সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এখন নির্বাচিত সরকার নেই। সংসদ নেই। সে ক্ষেত্রে আপনার এটা (নির্বাচনের পথনকশা ঘোষণা) করতে হলে সবার ঐকমত্যে ও মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। মতামত সৃষ্টি হয়েছে ডিসেম্বরের পক্ষে। সুতরাং যে মতামত সৃষ্টি হয়েছে, সেটির বাইরে গিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন কেন—এটিই এখন প্রশ্ন। এটি কাদের স্বার্থে, অন্য কোনো চিন্তা আছে নাকি?’

চাকরির এমসিকিউ পরীক্ষায় সফল হওয়ার কার্যকর কৌশল

0

বর্তমানে প্রায় সব চাকরির প্রাথমিক ধাপেই বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (এমসিকিউ) পরীক্ষা রয়েছে—হোক সেটা বিসিএস, ব্যাংক বা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ। সময় সীমিত, প্রশ্ন বেশি, ভুলের জন্য নেতিবাচক মার্কিং—এই বাস্তবতায় কেবল মুখস্থ আর দীর্ঘ সময় ধরে পড়ালেখা করলেই সফলতা আসে না। দরকার স্মার্ট পড়াশোনা ও পরিকল্পিত রিভিশন।  এই লেখায় আমরা এমসিকিউ পরীক্ষায় উৎকর্ষ অর্জনের জন্য কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।

এমসিকিউ পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ

এমসিকিউ পরীক্ষা জ্ঞানের পাশাপাশি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মানসিক প্রস্তুতি পরীক্ষা করে। মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো—প্রশ্ন বেশি, সময় কম, প্রতি প্রশ্নে ৩০–৪০ সেকেন্ড মাত্র। ভুল উত্তরের জন্য নেগেটিভ মার্কিং। গাইড ও প্রশ্নব্যাংকের উপচে পড়া তথ্য ভেতর থেকে কী পড়বেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। একটি বিষয় শিখে তা দীর্ঘদিন মনে রাখা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট পড়াশোনা ও পুনরাবৃত্তির কৌশল অপরিহার্য।

স্মার্ট পড়াশোনার কৌশল

সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরন বিশ্লেষণ

প্রথমেই প্রতিটি পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন ভালোভাবে জানুন। যেমন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, এবং আইসিটির ওপর প্রশ্ন থাকে। সিলেবাসের প্রতিটি বিষয়ের জন্য কত সময় বরাদ্দ করবেন, তা ঠিক করুন। একটি দৈনিক রুটিন তৈরি করুন, যেখানে দুর্বল বিষয়গুলোর জন্য বেশি সময় রাখবেন। ধরুন, আপনার গণিত দুর্বল—তাহলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন গণিতের জন্য ২-৩ ঘণ্টা করে বরাদ্দ করুন। প্রশ্নভিত্তিক অধ্যয়ন করুন, বইভিত্তিক নয়। যে বিষয় বা অধ্যায়ে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলো আগে গুরুত্ব দিন।  বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে জানুন, কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। এই বিশ্লেষণ আপনার পড়াশোনাকে ফোকাসড করবে।  সেই সঙ্গে একটি প্রশ্ন কীভাবে পরিবর্তন হয়ে ঘুরেফিরে আসে, তা বোঝার জন্য আগের বছরের প্রশ্নপত্র পড়ুন, নোট নিন। একই ধাঁচের প্রশ্নে ভুল না করাই স্মার্ট প্রস্তুতির মূল।

গুরুত্বপূর্ণ টপিকে অগ্রাধিকার

প্রতিটি বিষয়ের মূল ধারণাগুলো চিহ্নিত করুন। যেমন বাংলা: গুরুত্বপূর্ণ লেখক, তাঁদের রচনা, এবং সাহিত্যিক পুরস্কার। ইংরেজি: ব্যাকরণ, শব্দভান্ডার, এবং রিডিং স্কিল বাড়ান। গণিত: শর্টকাট পদ্ধতি ও সূত্রের প্রয়োগ। সাধারণ জ্ঞান: মুক্তিযুদ্ধ, ভূগোল, সমসাময়িক ঘটনা, এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন ইত্যাদি।  এই টপিকগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সময় বরাদ্দ করুন।

বেসিক ধারণা স্পষ্ট করুন

এমসিকিউ পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বিষয়ের মূল ধারণাগুলো ভালোভাবে বোঝা অত্যাবশ্যক। শুধু মুখস্থ না করে প্রতিটি টপিকের অন্তর্নিহিত অর্থ এবং প্রয়োগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখুন। কারণ, এমসিকিউ প্রশ্ন প্রায়শই সরাসরি না এসে একটু ঘুরিয়ে আসতে পারে।

সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি

বই বা গাইডে দেওয়া তথ্য নয়, আপনি নিজে যে তথ্য লিখে রাখবেন, সেটাই বারবার পড়তে সুবিধা হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাইলাইট করুন এবং টেবিল, চার্ট, বা মাইন্ড ম্যাপ ব্যবহার করুন। সংক্ষিপ্ত, মার্কড ও হাইলাইটেড নোট হলে দ্রুত রিভিশন সম্ভব। এই নোট দ্রুত পুনরালোচনার জন্য আদর্শ। উদাহরণস্বরূপ, সংবিধানের অনুচ্ছেদ বা ইতিহাসের ঘটনার ক্রম সংক্ষিপ্ত টেবিলে সাজান।

ডিজিটাল রিসোর্সের ব্যবহার

আধুনিক প্রযুক্তি আপনার প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।  ইউটিউব  এর শিক্ষামূলক ভিডিও দেখুন। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে পরীক্ষা দিন।

সময় ব্যবস্থাপনা

পরীক্ষার সময় সীমিত। তাই প্রশ্ন সমাধানের কৌশল শিখুন, সহজ প্রশ্ন আগে উত্তর দিন।  প্রথমে যেগুলো নিশ্চিত জানেন, সেগুলো সমাধান করুন। এলিমিনেশন মেথড প্রয়োগ করুন। ভুল অপশন বাদ দিয়ে সঠিক উত্তর খুঁজুন। নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে শুধু নিশ্চিত হলেই উত্তর দিন।

কার্যকর পুনরাবৃত্তির কৌশল

রিপিটেশন

‘তিন ধাপ পদ্ধতি’ অনুসরণ করুন। মনোবিজ্ঞানের এই পদ্ধতি তথ্য দীর্ঘ মেয়াদে মনে রাখতে সাহায্য করে। প্রথম পাঠ: বিষয়টি বুঝে পড়ুন। দ্বিতীয় পাঠ: ৩ দিনের মধ্যে আবার পড়ুন, হাইলাইট করুন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তৃতীয় পাঠ: ৭ দিনের মধ্যে সংক্ষেপে রিভিশন দিন—তবে এবার ভুল অংশে ফোকাস করুন।

একটিভ রিকল

চোখ বন্ধ করে পড়া বিষয় মনে করার চেষ্টা করুন। এটি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ মনে করার চেষ্টা করুন।

ফ্ল্যাশকার্ড

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সূত্র, বা সংজ্ঞা ফ্ল্যাশকার্ডে লিখুন। একপাশে প্রশ্ন, অন্যপাশে উত্তর। যাতায়াতের সময় বা অবসরে এগুলো দেখুন।

মক টেস্ট

সপ্তাহে ২-৩টি মক টেস্ট দিন, টাইমার সেট করে। ভুল উত্তর বিশ্লেষণ করে দুর্বলতা শনাক্ত করুন। এটি পরীক্ষার চাপ সামলানোর অভ্যাস গড়ে তুলবে।

গ্রুপ আলোচনা

বন্ধুদের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করুন। একে অপরকে প্রশ্ন করে জ্ঞান পরীক্ষা করুন। তবে বিতর্ক এড়িয়ে ফলপ্রসূ আলোচনায় মনোযোগ দিন।

পরীক্ষার দিনের প্রস্তুতি

আগের রাতে নতুন বিষয় না পড়ে শুধু নোট রিভিশন করুন। মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে গভীর শ্বাস নিয়ে শান্ত থাকুন। পর্যাপ্ত ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান। ধ্যান বা হালকা ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে পারেন। ইতিবাচক মনোভাব রেখে নিজের প্রস্তুতির ওপর ভরসা রাখুন।

উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা

এমসিকিউ পরীক্ষা শুধু জ্ঞানের নয়, কৌশল ও ধৈর্যের পরীক্ষা। প্রতিদিন নিজের উন্নতি পর্যবেক্ষণ করুন, অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়। প্রতিটি ভুল একটি শিক্ষা; প্রতিটি প্রচেষ্টা আপনাকে লক্ষ্যের কাছে নিয়ে যায়। নিয়মিত চর্চা, স্মার্ট পরিকল্পনা, এবং অটুট আত্মবিশ্বাস আপনাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেবে।

শেষ কথা

এমসিকিউ পরীক্ষায় সফলতার মূল চাবিকাঠি হলো পুনরাবৃত্তি ও কৌশলী প্রস্তুতি। আজই একটি মক টেস্ট দিয়ে দুর্বলতা চিহ্নিত করুন এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে কাজ শুরু করুন। মনে রাখবেন, ‘সাফল্য তখনই আসে, যখন প্রস্তুতি ও সুযোগ মিলিত হয়।’ আপনার প্রস্তুতি যেন কখনো অপ্রতুল না হয়। শুভকামনা।

মাত্র তিন মাস বিলম্বেই কেন এতটা সংশয়ে বিএনপি?

0

ঢাকা: ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিএনপি। সরকার বলছে, এই সময় নির্বাচন হলে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগত সংস্কার শেষ করা সম্ভব হবে এবং সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে।

কিন্তু বিএনপি বলছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত হতো। তাদের দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এপ্রিলের তারিখ ঘোষণা অযৌক্তিক বলেও মনে করছে দলটি।

এপ্রিলে নির্বাচনের সময় ঘোষণার ব্যাপারে সরকারের যুক্তি, সংস্কারগত কার্যক্রম সম্পন্ন করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সময়সংক্রান্ত দাবিগুলোরও একটা সমন্বয় হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার পরিকল্পনা। কেননা, ছাত্র-জনতার সম্মিলনে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এ বিষয়ে বেশ জোর দিচ্ছে।  

শুক্রবার (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।

তিনি বলেন, এ সরকারের বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোয় যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে বলে উল্লেখও করেন তিনি। ড. ইউনূস জানান, আগামী বছর রোজার ঈদের পর নির্বাচনের সময় দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা সম্ভব হবে, সেই বিবেচনাতেই এপ্রিল মাস নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা তার ঘোষণায় আরও বলেন, সরকার যে সংস্কারগুলো করবে তা যাতে জাতীয় সংসদে অনুমোদন হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকার নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা সকল রাজনৈতিক দল এবং আপনাদের এলাকার প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার আদায় করে নেবেন যেন আগামী সংসদের প্রথম অধিবেশনেই যেসব সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে তা কোনো প্রকার কাটাছেঁড়া ছাড়াই যেন তারা অনুমোদন করেন। ‌

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, বিচার ও সংস্কারের কার্যক্রমকে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছানো, প্রবাসী ও তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্যই এপ্রিলকে নির্বাচনকাল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর বিএনপি নির্বাচন নিয়ে দ্বিমুখী আপত্তি জানিয়েছে। (১) আগামী এপ্রিলে ভোট করার সময়টা উপযুক্ত নয়। (২) ডিসেম্বরে ভোটের যে দাবি তারা করে আসছিল, সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার তিন মাস সময় পিছিয়েছে। বিএনপির মতে, এই তিন মাস খুব বেশি সময় না হলেও নির্বাচন আয়োজনের দিক থেকে এটি মোটেই অনুকূল সময় নয়। বরং এতে নির্বাচন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, যদি সরকার অন্তত ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন দিত, তাহলেও আপত্তির তেমন কিছু থাকত না। কারণ, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি— এই সময়টা আবহাওয়া এবং পরিস্থিতির দিক থেকে নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। তখন আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও শান্ত, আর স্কুল-কলেজে বড় ধরনের পরীক্ষা বা খোলা রাখার তেমন চাপও থাকে না।

শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার নামাজ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের শীর্ষ নেতারা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, যে সময়টি (এপ্রিল মাস) নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নয়। এ সময়ে প্রচণ্ড গরম, ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এছাড়া, এপ্রিল মাস রোজার পরপরই এবং পাবলিক পরীক্ষার কারণেও অনুপযোগী। আমাদের মনে হয় না সময়টা খুব চিন্তা করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, রোজার মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো কঠিন হবে। গতকাল (শুক্রবার) রাতেই আমাদের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরই নির্বাচন হওয়া সম্ভব এবং সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে।  

সবচেয়ে বড় কারণ যেটি বলছে বিএনপি, সেটি হলো বাজেট ঘোষণা। বিএনপির নেতাদের মতে, আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন হলে নতুন সরকার গঠন, সংসদ অধিবেশন ডাকা ও বাজেট প্রস্তুতির জন্য সময় পাওয়া যাবে খুবই অল্প। কারণ, দেশের নতুন অর্থবছর শুরু হয় ১ জুলাই থেকে। তার আগে জুনের প্রথম সপ্তাহেই বাজেট সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। কিন্তু এপ্রিলে নির্বাচন হলে নতুন সরকার বাজেটের বিশাল প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পাবে না। এক মাসের মধ্যে বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা বাস্তবসম্মত নয় বলেই তারা মনে করছেন। তাই তারা এই সময়টিকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য যুক্তিসঙ্গত মনে করছেন না।

নেতারা এও অভিযোগ করেছেন, এতদিন প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত যে সময় ঠিক করা হয়েছে, তা পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেওয়ার শামিল। সমমনা দলগুলোসহ বিএনপি ডিসেম্বরেই নির্বাচনের পক্ষে। সে হিসেবেই তারা রোডম্যাপ চেয়ে আসছিল। সরকার যদিও জুন থেকে সরে এসেছে, তবু তাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। তা ছাড়া সরকার জামায়াত ও এনসিপির প্রতি আলাদা মনোভাব দেখাচ্ছে। এ কারণে বিএনপি ও অন্যান্য দলের নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ফলে, নির্বাচনের সময় এবং পরিবেশ প্রতিকূল হয়ে পড়বে এবং নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। এছাড়াও, এতে অন্তর্বর্তী সরকারের একতরফা নীতি বজায় থাকবে, যা বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলি প্রত্যাখ্যান করছে।

কিন্তু সরকার বলছে, ইতোমধ্যে শুরু করা সংস্কার কাজগুলো এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার আগে শেষ করা সম্ভব হবে। তাই এসব সংস্কারের কথা মাথায় রেখেই আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, এই সময় নির্বাচন করলে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় দরকারি সংস্কারগুলো সঠিকভাবে করা যাবে।  

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এই সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ডিসেম্বরের কথা বলেছিল। আমরা এখনো বলছি, ডিসেম্বরই নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। বিএনপির প্রতি কেন যেন সরকার বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। নতুন সৃষ্ট দল এবং অন্য আরেকটি দলের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। ’

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত ও এনসিপি। শুক্রবার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতি আশ্বস্ত হয়েছে। ’

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এনসিপি বলেছে, ঘোষিত সময়ের মধ্যে যদি ‘জুলাই সনদ’, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও গৃহীত সংস্কার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে ওই সময়ে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আসবে। তারপরও যদি ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই এসব বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

জামায়াত-এনসিপি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দলের নেতারা জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তারিখ ঘোষণা হওয়ায় একটা অনিশ্চয়তা কেটেছে—এটা ভালো। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচন যদি ডিসেম্বরেই হতো, তাহলে অসুবিধাটা কোথায় ছিল? আমাদের মতো অনেক দলের সেই সময়টাই বেশি উপযুক্ত মনে হয়েছিল।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করা দরকার। এই তিনটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তার কথা সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বারবার বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এর প্রতিফলন ছিল, সেটা ইতিবাচক। তবে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা এটাও বলেছিলাম, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে না পারলে তার কারণ সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট হওয়া দরকার। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় হিসেবে এপ্রিলের প্রথমার্ধের কথা উল্লেখ করেছেন, যে সময়টি প্রতিকূল আবহাওয়া, পাবলিক পরীক্ষা এবং এর আগে রোজা— সব মিলিয়ে নির্বাচনের জন্য কতটা অনুকূল ও বাস্তবসম্মত হবে, সে ব্যাপারে আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আরও আলোচনা ইতিবাচক হবে বলে আমরা মনে করি। পাশাপাশি সংবিধান সংস্কারে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ও এই সংস্কারকে সুরক্ষিত করার জন্য আমরা আগামী নির্বাচনকে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’এর নির্বাচন হিসেবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এ বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা আসেনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদেশিদেরকে বন্দর দেওয়ার ব্যাপারে নানা মহলের প্রশ্ন ও সমালোচনা আছে। কিন্তু সেটাকে অপপ্রচার বলে ‘প্রতিহত’ করার জন্য যে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সেটা তার কাছ থেকে কাম্য নয়। সরকারের বরং এই ইস্যু নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।

অনেক নেতা মনে করেন, নির্বাচনের সময় হিসেবে এপ্রিলে যাওয়াটা অনেকটা একধরনের জেদের ফল। তারা বলছেন, অনেক দল ডিসেম্বরের পক্ষে ছিল—এটা জেনেও সরকার যেন ইচ্ছে করেই উল্টো দিকে গেল। ‘ওরা চেয়েছে বলে দেবো না’—এই মানসিকতা থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করলেও সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিয়েছেন, যা সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। তারা বলছেন, আগামী বছরের মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত রমজান থাকবে, এপ্রিলে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকবে, বজ্রপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও হবে। এসব কারণে এপ্রিল মাস নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়, কারণ তখন উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কঠিন হবে। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনকাল নির্ধারণ নিয়ে বর্তমান টানাপোড়েন দেশকে আবারো অনিশ্চয়তা ও স্থবিরতার পথে ঠেলে দিচ্ছে কিনা, প্রশ্ন এখন সেটাই।

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও বেওয়ারিশদের সঠিক তালিকা আজও প্রণয়ন হয়নি

0

ঢাকা: জুলাই অভ্যুত্থানের প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার এখনও শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে পারেনি। বিভিন্ন উৎস থেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান এলেও কোনো চূড়ান্ত হিসাব নেই।

শহীদদের মধ্যে অনেকেই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছেন, কিন্তু তাদের শনাক্তে দৃশ্যমান কোনো সরকারি উদ্যোগ নেই। আহতদের তালিকা অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর, যার ফলে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সহায়তা ও পুনর্বাসনে অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও স্পষ্টতা ও স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ভুল ও চূড়ান্ত তালিকা ছাড়া এই শহীদদের সম্মান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা সম্ভব নয়।

এই আন্দোলনের সূচনা হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। এরপর কয়েক সপ্তাহ জুড়ে ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশে রাস্তায় নামে ছাত্র-জনতা। ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও সরকার চরম দমনপীড়নের পথ বেছে নেয়। আন্দোলনের সময় নিহত, নিখোঁজ কিংবা আহত ব্যক্তিদের একটি নিশ্চিত পরিসংখ্যানের অভাবে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে— জনমনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কত মানুষ রাষ্ট্রীয় দমননীতির শিকার হয়েছেন? অভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের প্রকৃত সংখ্যা কত?

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যসচিব তারেকুল ইসলাম জানান, সরকারি ও বেসরকারি নানা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে তারা ১ হাজার ৪২৩ জন শহীদের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করতে পেরেছেন। আহতের সংখ্যা সেখানে দেখানো হয় ২২ হাজারের বেশি। ৫৮৭ জন অঙ্গহানি ঘটিয়েছেন, ৬৮৫ জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, এমনকি ৯২ জনের দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে গুলিতে।

তিনি বলেন, এসব তথ্যে সংযোজন-বিয়োজন হবে। আমরা ভেরিফিকেশন ও ভ্যালিডেশনের কাজটি করছি। আমরা একটি সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে সক্ষম হবো।

একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি ও নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি তালিকায় ১ হাজার ৫৮১ জন শহীদের নাম পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা। তবে এই তালিকা এখনো চূড়ান্ত নয়।

সরকারি নথিবদ্ধ তথ্য ও বেসরকারি সূত্রের পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বিক্ষোভ চলাকালে এক হাজার ৪০০ জনের মতো মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে। যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক রাইফেল এবং লোড করা শটগানের প্রাণঘাতী গুলিতে নিহত হন। আরও হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী হতাহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে প্রায় ১২–১৩ শতাংশ শিশু। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের হত্যার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত করতে গত ডিসেম্বরে সরকার গঠন করে ‘গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত বিশেষ সেল’। গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে আন্দোলনে নিহত বা নিখোঁজ, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু কিংবা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে কোনোভাবে মারা গেছেন, এমন বাদ পড়াদের নাম তালিকাভুক্ত করার কথা গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত এই বিশেষ সেলের। ২১ ডিসেম্বর সেলটি তাদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে শহীদ সংখ্যা ৮৫৮ জন এবং আহত ১১ হাজার ৫৫১ জন।

তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শহীদদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিলেন ১৯৯ জন, তবে ১৩৪ জনের কোনো পেশা উল্লেখ করা হয়নি। আহতদের মধ্যেও রয়েছে বহু সংকট—দৃষ্টি হারানো ১ হাজার ৩৪ জন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন ২১ জন। তালিকার বাইরেও অনেকের নাম বাদ পড়ে গেছে। আহতদের মধ্যে অনেকে একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে তাদের পরিবারে।

এরপর, ১৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রথম গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে ৮৩৪ জন শহীদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। মার্চের ৪ ও ৫ তারিখে তারা আহতদের তিন ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করে দ্বিতীয় গেজেট প্রকাশ করে: ক (অতি গুরুতর), খ (গুরুতর), গ (আহত)। বিভাগভিত্তিক হিসেবেও সেখানে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়। তবে এই ক্যাটাগরি ভিত্তিক তালিকা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে আহতদের।

দ্বিতীয় গেজেটের ‘ক’ শ্রেণিতে অতি গুরুতর আহতের তালিকায় আছেন মোট ৪৯৩ জন; ‘খ’ শ্রেণিতে গুরুতর আহত আছেন ৯০৮ জন; ‘গ’ শ্রেণিতে আহতদের তালিকায় আছেন ঢাকা বিভাগে ৩,০৯৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ১,৯২৭, খুলনায় ১,১৯৫, বরিশালে ৭৭২, রংপুরে ১,৩১৫, রাজশাহীতে ১,০৯১, ময়মনসিংহে ৫৩৪ ও সিলেটে ৭০৮ জন।

অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সরকার গঠন করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনের একটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৪৩৭ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ দেওয়া হয়েছে ৫৪ কোটি ৭১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ৮৫২ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৭৫৯ জনকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে, মোট ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১০১ কোটি টাকার বেশি সহায়তা পৌঁছেছে মাত্র ৬ হাজার ১৯৬ জনের হাতে।

তবে সহায়তা কার্যক্রম এখনও আংশিকই রয়ে গেছে— এমনটাই দাবি করছেন আহতরা। হাসপাতালের শয্যায় থাকা অনেকেই জানাচ্ছেন, সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের অনিশ্চয়তা তাদের ভবিষ্যৎকে ধোঁয়াশায় ঠেলে দিয়েছে। কেউ কেউ একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন পরিবারে, আজ তারাই পরিবারের বোঝা।

পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়ায় সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসাইন বলেন, তালিকা বলতে একটা হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ভ্যারিফায়েড, আরেকটা গেজেটভুক্ত তালিকা। গেজেটভুক্ত নয় কিন্তু এমআইএস ভ্যারিফায়েড রয়েছে— এই সংখ্যাও মোটামুটি অনেক। আমরা অভ্যুত্থান সেলের সঙ্গে যখন এই বিষয়ে কথা বলেছি, তখন সেল থেকে বলা হয়েছে, পরবর্তী গেজেটে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নতুন করে যাদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকেও পরবর্তী গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ তালিকা হবে জানতে চাইলে গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা (যুগ্মসচিব) মো. মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তালিকাটি খুব দ্রুত শেষ করতে চাই। এখানে কিছু জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। শহীদের তালিকার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৮৩৪ জন শহীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এর সঙ্গে কিছু সংযোজন-বিয়োজন হবে। শহীদ তালিকায় আপত্তি খুবই সামান্য, এটা ৮৫০ জনের মধ্যেই থাকবে আশা করি।

আহতদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আহতদের তালিকার বেশ বড় সংকট আছে। ক, খ এবং গ এই তিন ক্যাটাগরি করা হয়েছে, এখনও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস-এ ওই সময়েরই দুই হাজারের বেশি পেন্ডিং আছে। এটা কীভাবে সুরাহা হবে, সেই সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি এমআইএসে অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ ছিল। এখনও অনেকে আমাদের কাছে এসে বলছে, ‘আন্দোলনে ছিলাম, আহত হয়েছি’। সরকার চায় না যেন মুক্তিযুদ্ধের মতো ৫৪ বছর ধরে যাচাই-বাছাই চলে। যখনই হোক, নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকা যেন আমরা পাই।

বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা শহীদদের শনাক্তে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে। যদি প্রকৃত শহীদ হন, তিনি বেওয়ারিশ হিসেবে থাকবেন—এটা তো হতে পারে না। তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ শুরু হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ছাড়া সঠিক সহায়তা কার্যক্রম গড়ে তোলা অসম্ভব। পাশাপাশি, রাষ্ট্র যদি ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ যথার্থ মর্যাদা না দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ হয়তো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সাহস পাবে না।

তারা আরও বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা না হওয়ায় আর্থিক সহায়তা, উন্নত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে—এমন অনেক অভিযোগ উঠেছে। চূড়ান্ত ও সঠিক তালিকা হলে অভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের সার্বিক সহায়তা কার্যক্রমে গতি ফিরবে। একই সঙ্গে দেশবাসীও শহীদ ও আহতদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে পারবে।

নির্বাচনের তারিখ জানানোর আগে ‘জুলাই সনদ’কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম

0

বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। চীনের দূতাবাসের আমন্ত্রণে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।

এনসিপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও সংস্কারপ্রক্রিয়া ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরাজমান আগ্রহ এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল ও চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এনসিপির নেতারা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে, এমন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও তাঁরা তুলে ধরেছেন।

চীনে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি টেকসই ও গণতান্ত্রিক পথ কেবল জন–আকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘এই সনদ শুধু একটি নীতিগত দলিল নয়, বরং জুলাই আন্দোলনে যাঁরা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে।’ নাহিদ আরও বলেন, জুলাই সনদ জুলাই আন্দোলনের নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।

বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এনসিপি সরকারের পদক্ষেপ ও অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এনসিপির আশা, জুলাই সনদ প্রণয়ন ও ঘোষণার প্রক্রিয়া আর বিলম্বিত না করে যথাযথ আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে; যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পায়।

নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, এনসিপি প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও দলনিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চায়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং পরে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি হলে সব পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এনসিপির প্রতিনিধিদলের সামগ্রিক রাষ্ট্র ভাবনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং তাঁদের চিন্তাশীল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান বলে এনসিপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রদূত চীনের হস্তক্ষেপ না করার নীতি (নন-ইন্টারফেয়ারেনস) এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার ব্যাপারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। চীনের রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক ও গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।