Saturday, June 7, 2025
Home Blog Page 7

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ঘোষণা করলো মাল্টা

0

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা এই ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম মাল্টা টাইমস এ তথ্য জানায়।

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা ঘোষণা করেছেন, তার দেশ আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

গাজায় চলমান ব্যাপক সংঘাত সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাল্টা মানবিক ট্র্যাজেডির দিকে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না।

তিনি বলেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মে) ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ডাক্তার পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যদের আশ্রয় দিতে মাল্টা প্রস্তুত।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি অনুযায়ী, হামলায় আল-নাজ্জারের স্বামী ও বেঁচে যাওয়া ১১ বছর বয়সী এক ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মে) খান ইউনিসে আল-নাজ্জার পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আল-নাজ্জারের দশ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই নিহত হয়েছে।

এই নয় শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয় দুই ডাক্তার হামদি আল-নাজ্জার এবং তার স্ত্রী আলা আল-নাজ্জারের বাড়ি থেকে। 

প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বলেন, ‘মাল্টা আল-নাজ্জার এবং তার স্ত্রী আলা আল-নাজ্জারের পরিবারকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত এবং তাদের নিজেদের পরিবারের মতোই বিবেচনা করবে।

আমরা জুতা-টি-শার্ট নয়, ট্যাংক তৈরি করতে চাই: ট্রাম্পের ঘোষণা

0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার শুল্কনীতি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাংক, যুদ্ধসরঞ্জাম ও উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, টি-শার্ট বা জুতা তৈরির জন্য নয়।  

রোববার (২৫ মে) নিউ জার্সিতে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি তার অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের গত ২৯ এপ্রিল করা মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

সেদিন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ জরুরি নয়। তার দেশের অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের পর টেক্সটাইল খাতের সংগঠন ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনস’ বেসেন্টের তীব্র সমালোচনা করেন।

এই বিষয় নিয়ে ট্রাম্প বলেন, সত্যিই আমি চাই না টি-শার্ট বা মোজা বানাই। এগুলো অন্য দেশে বানানো সম্ভব। বরং সামরিক সরঞ্জাম, ট্যাংক, জাহাজ, চিপস, কম্পিউটার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আমাদের দেশেই বানানো হোক।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, বড় পরিসরে শক্তিশালী উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করাই তার অর্থনৈতিক কৌশলের মূল উদ্দেশ্য। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষাখাতে আত্মনির্ভরশীল হবে।

সম্প্রতি বাণিজ্যনীতি নিয়ে ফের কড়া অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। শুক্রবার (২৩ মে) তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।  

অ্যাপলকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা আইফোনের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হতে পারে।

১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর এই নতুন শুল্ক কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার এই অবস্থান বিশ্ববাজারে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে

“পিএসএল জয়ে রিশাদ–সাকিবদের দল পেল কত টাকা, বাকিরা কী পেলেন?”

0

ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, আশপাশে উল্লাসে মেতে উঠেছেন তাঁর সতীর্থরা। ২০২৫ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) চ্যাম্পিয়ন হিসেবে লাহোরের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে এটি। তবে ট্রফির বাইরেও প্রাপ্তি থাকে। থাকে অর্থযোগ। শুধু চ্যাম্পিয়ন নয়, ফাইনালে হারা রানার্সআপ দলও পায় ট্রফি আর টাকা।

এ ছাড়া টুর্নামেন্টসেরা, ফাইনালসেরা, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা বোলার, সেরা ফিল্ডারসহ আরও নানা পুরস্কার তো থাকেই। গত রাতে পিএসএলের দশম আসর শেষেও এমন নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অনেকেই। পেয়েছেন অর্থকড়ি।

ফাইনালে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারানো রিশাদ–সাকিব–মিরাজের দল লাহোর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পেয়েছে ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। আর মার্কিন ডলারে ৫ লাখ। রানার্সআপ হওয়া কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স পেয়েছে ২ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫ কোটি ৬০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি।

এবারের পিএসএলে টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন হাসান নেওয়াজ। কোয়েটায় খেলা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান রান করেছেন ৩৯৯। টুর্নামেন্টসেরা হিসেবে পেয়েছেন ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। এর পাশাপাশি আরেকটি পুরস্কারও পেয়েছেন নেওয়াজ—একটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিওয়াইডি সিল।

টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার হিসেবে ৩৫ লাখ পাকিস্তানি রুপিও পেয়েছেন নেওয়াজ। এ ছাড়া ৩৫ লাখ রুপি করে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি (সেরা বোলার), আবদুস সামাদ (সেরা ফিল্ডার), সিকান্দার রাজা (সেরা অলরাউন্ডার), মোহাম্মদ হারিস (সেরা উইকেটকিপার) এবং মোহাম্মদ নাঈম (সেরা উদীয়মান)।

ফাইনালে কোয়েটার ২০১ রান তাড়ায় লাহোরের হয়ে ৩১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কুশল পেরেরা। যে ইনিংসের জন্য ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান।

“হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মায়ের কাছে পৌঁছায় সন্তানদের সাতটি মরদেহ”

0

ফিলিস্তিনি চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জার শুক্রবার সকালে দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। তাঁর ১০ সন্তানের সবাই বাড়িতেই ছিল।

কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে তাঁর সাত সন্তানের মরদেহ এসে পৌঁছায়। তাদের বেশির ভাগেরই শরীর ছিল দগ্ধ।

গাজা সিভিল ডিফেন্স বলেছে, নাজ্জারের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় তাঁর ৯ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই তাঁর সাত সন্তানের মরদেহ হাসপাতালে আনা হলেও দুজনের মরদেহ শনিবার সকাল পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে ছিল। নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১২ বছর। আর সবচেয়ে ছোটটির বয়স সাত মাস।

ওই হামলায় নাজ্জারের শুধু একটি সন্তান প্রাণে বেঁচে যায়। তবে সে–ও গুরুতর আহত হয়েছে। হামলায় নাজ্জারের স্বামীও মারাত্মক রকমের আহত হয়েছেন। তিনিও একজন চিকিৎসক।

আলা আল-নাজ্জারের পারিবারিক বাড়িটির অবস্থান গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায়। গাজা সিভিল ডিফেন্স ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাড়িটিতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিএনএনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা সিএনএনকে বলেছে, খান ইউনিস এলাকায় আইডিএফ সেনাদের নিকটবর্তী স্থাপনায় তৎপরতা চালানো কয়েকজন সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তারা বেসামরিক প্রাণহানির অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে।

গাজা সিভিল ডিফেন্স হামলাস্থলের একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, চিকিৎসাকর্মীরা একজন আহত ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে তুলছেন। আর অন্য উদ্ধারকর্মীরা আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িটির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একে একে শিশুদের ঝলসে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ বলেন, আলা আল-নাজ্জারের স্বামী বাড়িতে ফিরেই বিমান হামলার শিকার হন।

বারশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘তাঁদের (নাজ্জার দম্পতির) ৯ সন্তান নিহত হয়েছে—ইয়াহিয়া, রাকান, রাসলান, জিবরান, ইভ, রিভাল, সাইডেন, লুকমান ও সিদরা।’ তিনি আরও বলেন, নাজ্জারের স্বামী বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

বারশ বলেন, ‘গাজার চিকিৎসাকর্মীদের বাস্তবতা এটাই। এই বেদনার কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ইসরায়েলের আগ্রাসন এতটাই নির্মম যে তা শুধু গাজার চিকিৎসাকর্মীদেরই নয়, পুরো পরিবারকেই নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে।’

নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আহমদ আল-ফারা সিএনএনকে বলেন, নিজের ৯ সন্তানকে হারানোর পরও নাজ্জার হাসপাতালে তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। হাসপাতালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মাঝেমধ্যে গিয়ে স্বামী ও একমাত্র জীবিত সন্তান আদমের শারীরিক অবস্থান খোঁজ নেন। আদমের বয়স ১১ বছর।

ফারা বলেন, বাবা ও ছেলেকে হাসপাতালে দুটি করে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। তারা এখনো চিকিৎসাধীন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউসুফ আবু আল-রিশ বলেন, আলা আল-নাজ্জার নিজের সন্তানদের বাড়িতে রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য বের হয়েছিলেন। তিনি সেসব অসুস্থ শিশুদের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন, যাদের নাসের হাসপাতাল ছাড়া যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই।

রিশ বলেন, তিনি যখন হাসপাতালে পৌঁছান, তখন দেখেন, নাজ্জার শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর চোখ বলছিল, তিনি নিয়তিকে মেনে নিয়েছেন। নাজ্জার শুধু শান্ত স্বরে আল্লাহকে ডাকছিলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছিলেন।

৩৮ বছর বয়সী নাজ্জার একজন শিশুবিশেষজ্ঞ। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে অন্য অনেক চিকিৎসকের মতো তিনিও জরুরি বিভাগে কাজ করে যাচ্ছেন।

দিগন্তজুড়ে ১০ কিলোমিটার তালগাছ, যেন প্রকৃতির তালের সাম্রাজ্য

0

আশির দশকে সেখানে ফসলি জমি ছিল, আবাদ হতো ধানের। বেড়িবাঁধ হওয়ার পর এসব জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মালিকানায় চলে যায়। অনেক দিন ধরে থাকে পরিত্যক্ত ও অনাবাদি। পরে ফসলের ক্ষতি পোষাতে স্থানীয় লোকজন সেখানে রোপণ করেন সারি সারি তালগাছ।

বাঁধের পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শোভা পাচ্ছে শত শত তালগাছ। এসব তালগাছে ফলন হচ্ছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে এসব গাছে শোভা পায় তাল। ‘এক পায়ে দাঁড়ানো, সব গাছ ছাড়ানো ও আকাশে উঁকি মারা’ এসব তালগাছ ও তালের ফলনে বাঁধ এলাকা যেন হয়ে উঠেছে ‘তালগাছময়’।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম বাইশপুর থেকে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে বিপুলসংখ্যক তালগাছ দেখা গেছে। শত শত তালগাছের হাতছানি ও উঁকিঝুঁকি যেন জানান দিচ্ছে এক টুকরা দৃষ্টিনন্দন ‘তালরাজ্যের’।

গত শনিবার দুপুরে বেড়িবাঁধের পশ্চিম বাইশপুর, চরমাছুয়া, গাজীপুর, আমিরাবাদ, মোহনপুরসহ অন্যান্য এলাকায় দেখা যায়, সারি সারি ছোট-বড় তালগাছে ঝুলছে সবুজ তাল। বড় বড় তালগাছ যেন আকাশে উঁকি মেরে বজ্রপাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর প্রার্থনা জানাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তালের আঁটি কেটে বিক্রি করছেন। কেউ গাছের মাথায় ঝুলে থাকা তালের সংখ্যা গুনছেন।

পশ্চিম বাইশপুর গ্রামের দেওয়ান মো. সেলিম বলেন, বেড়িবাঁধ হওয়ার আগে এখানে ধানের আবাদ হতো। বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে। ক্ষতি পোষাতে তিনি বাঁধের পাশে ১০টি তালগাছ লাগান। এখন ফলন হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে কিছু বিক্রি করে আয়ও হচ্ছে। আশপাশের লোকজনও তালগাছ লাগাতে উৎসাহী। ফলন থেকে অনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

গাজীপুর এলাকার মো. ওবায়েদ উল্লাহ বলেন, পশ্চিম বাইশপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত হাজারের বেশি ছোট-বড় তালগাছ আছে। নতুন করে আরও গাছ লাগানো হচ্ছে। বজ্রপাতও এই এলাকায় কম।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমজাদ হোসেন এবং মতলব উত্তরের ইউএনও মাহমুদা কুলসুম বলেন, বাঁধ এলাকায় এত তালগাছ থাকার বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক। প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বেশি করে তালগাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ করছে।

“কর্মচারীদের আন্দোলনের মাঝেই জারি হলো সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ”

0

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই  ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’  জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

এ অধ্যাদেশ অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে এই অধ্যাদেশ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তাঁর কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া, চাকরি হতে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দণ্ড দেওয়া যাবে।

তবে অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। কারণ, বিভাগীয় মামলা রুজু ছাড়াই শাস্তি দেওয়ার সুযোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাঁকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে দণ্ড আরোপ করা যাবে। এভাবে দণ্ড আরোপ করা হলে দোষী কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। যদিও আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন।

আন্দোলনকারী কর্মচারীরা অধ্যাদেশকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।

বিদেশ যেতে নিষিদ্ধ হলেন সাবের হোসেন চৌধুরী

0

সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী ছাড়াও তাঁর স্ত্রী রেহেনা চৌধুরী, ছেলে হামদান হোসেন চৌধুরী, আরজ আলম চৌধুরী, মেয়ে রাইমা চৌধুরী ও আলীশা বাবর চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অর্থনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সাবের হোসেন চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। পরে শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগের মামলায় গত বছরের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। দুই দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

সাবের হোসেন চৌধুরী ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিগত সরকারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরায়েলে ফের বিক্ষোভের ঝড়

0

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের অবসান ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে আবারও বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এ তথ্য।

শনিবার (২৪ মে) স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজধানী তেলআবিবের প্রধান সড়কে জড়ো হন জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের পরিবার। এ সময় সরকার বিরোধী স্লোগান দেন হাজারও মানুষ।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময়, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার সম্ভব নয় উল্লেখ করে, স্বজনদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। সেইসাথে, আগ্রাসন বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চাপ প্রয়োগের আহ্বানও জানায় জিম্মিদের পরিবার।

ইসরায়েলি সূত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন সময় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিসহ অন্যান্য সমঝোতার পর হামাসের হাতে এখনও বন্দী অন্তত ৫৮ জিম্মি। এদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ দুই ধাপে বৈঠকে মিলবেন যাঁরা

0

দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আজও বসতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৫ মে) বিকেল ৫টা ও ৬টায় দুই দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারা।

প্রথম দফায় দেখা করবেন ১১ জন। তারা হলেন, কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জুনায়েদ সাকী, হাসনাত কাইয়ুম, মুজিবর রহমান মঞ্জু, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, টিপু বিশ্বাস, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

দ্বিতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ৯ জন। তারা হলেন, মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমেদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নুরুল হক নূর, মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাযি।

এর আগে, গতকাল শনিবার (২৪ মে) রাতে বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গর্ব: কান উৎসবে সম্মানিত হলো ‘আলি’

0

৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখার স্পেশাল মেনশন (বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে স্বীকৃতি) দেওয়া হয়েছে পরিচালক আদনান আল রাজীবের সিনেমাটিকে। 

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে দেখানো হয় সিনেমাটি। তখনই এটি প্রশংসিত হয়। 

সিনেমায় স্বনামে অভিনয় করেছেন আল-আমিন। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র আলী—উপকূল অঞ্চলের এক কিশোর, যে বেড়ে উঠেছে সমাজের এক কঠোর প্রথার ভেতর। যেখানে নারীদের গান গাওয়াকে অপমান হিসেবে দেখা হয়, সেখানে আলী নিজেই অংশ নিতে চায় একটি গানের প্রতিযোগিতায়। এই সরল আকাঙ্ক্ষার আড়ালে আছে এক দীর্ঘ সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা, যা প্রশ্ন তোলে লিঙ্গবৈষম্য, পরম্পরা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার সীমারেখা নিয়ে।

ছবির মূল কারিগর নির্মাতা আদনান আল রাজীব। দেড় যুগ ধরে টিভি বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন নির্মাণে কাজ করছেন। ১৫ মিনিটের সিনেমা ‘আলী’ ছবির শুটিং প্রসঙ্গে আদনান জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে সিলেটের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করেছেন তারা। টানা পাঁচ দিন কাজ করে শুটিং শেষ করেন।

সিনেমাটি উৎসবের কথা মাথায় রেখে বানিয়েছিলেন আদনান আল রাজীব। তবে তা যে কান উৎসব হবে, ভাবেননি তিনি। কানে মনোনয়নের পর আদনান বলেছিলেন, আমরা তো আসলে কখনোই কান উৎসবের কথা ভাবিনি। এটা তো স্বপ্নের মতো ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য ছিল একটা ফিল্ম বানাব। এরপর একটা অভিনব ভাবনা মাথায় আসে। তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল, এই ভাবনা নিয়ে কাজ করি।