Monday, September 16, 2024
Home Blog Page 7

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতিকে বিভক্ত নয় বরং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী দিনগুলোতে জাতিগঠনের জন্য যার যার জায়গা থেকে আমরা অবদান রাখবো ইনশাআল্লাহ। সে জন্য আমাদের সঙ্গে আপনাদেরকে পেতে চাই। আমরা কোন বিভক্ত জাতি চাচ্ছি না। ধর্মের ভিত্তিতেও না, দলের ভিত্তিতেও না। দল এবং ধর্ম যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো। বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

২৫ আগস্ট রবিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ও মাওলানা আবদুল হালিম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান (হাজী শরীয়তুল্লাহর নাতি), ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, এসোসিয়েশন ফর ইসলামিক মিডিয়া পার্সোনালিটিজ-এর সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের তথ্য সম্পাদক মাওলানা মোঃ ফজলুল করিম।

আমীরে জামায়াত বলেন, “দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর দুঃশাসনের পর গত ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তানের পর দেশটা কিভাবে শান্তি-শৃঙ্খলার দিকে ফিরে আসবে এবং দেশের প্রত্যেক নাগরিক তার জান-মাল-ইজ্জত-আব্রু নিয়ে শান্তি ও মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারে এ রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আমাদের করণীয় কী হতে পারে, আমরা সেই বিষয়গুলো আলোচনা করেছি এবং আমরা একমত হয়েছি। আমরা কোন মাইনোরিটি ও মেজোরিটি চাই না, আমরা চাই একতা। যে জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকে সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়। এটা কেউ আটকিয়ে রাখতে পারে না এবং জাতি মর্যাদার সাথে তার আশা দুনিয়ার বুকে তৈরী করে নেয়।

আমীরে জামায়াত আরও বলেন, এই আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য তাজা প্রাণ চলে গেছে। আমরা তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ করুন। দেশের ভিতরে যেমন আমরা গুলির সামনে লড়াই করেছি ঠিক তেমনিভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে যেখানে বাংলাদেশীরা আছেন তারাও আমাদের সাথে সমানতালে লড়াই করেছেন। এই লড়াই করতে গিয়ে বহু জায়গায় মিছিল-মিটিং হয়েছে। বিগত সরকার দুর্নীতি করার কারণে দেশে তারা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। এই যুদ্ধ তারা সমানতালে চালিয়েছেন। আমরা তাদের মোবারকবাদ জানাই। ছাত্রজনতার সাথে তালমিলিয়ে বিদেশের মাটিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। আমরা বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করবো রেমিট্যান্সদাতা যাদেরকে আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা বলি তাদেরকে যেন অতি দ্রুত মর্যাদা সম্পন্ন করা হয়। তাদেরকে ঐদেশে সম্ভব হলে ওখানে পুনর্বাসন করা, না হলে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। আমরা আশা করবো দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকেও আমরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাবো।”

বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান বলেন, “আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ের পরে আমি আমীরে জামায়াতকে অসংখ্য ধন্যবাদ, মুবারকবাদ জানাই। উনি দেশের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন এবং সমাজব্যবস্থার জন্য আমরা উনার সাথে একমত পোষণ করেছি। বাংলাদেশের আলেম-উলামা, রাজনৈতিক ইসলামিক দল আমরা সকলে একযোগে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।

ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হতে পারত : অভিনেত্রী কঙ্গনা

0

হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপির এমপি ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত বলেছেন নরেন্দ্র মোদির সরকার কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঠোর না হলে ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হতে পারত।

৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই প্রসঙ্গ তুলে এক এক্স বার্তায় কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন কঙ্গনা।

এক্স এ শেয়ার করা ভিডিওতে কঙ্গনা অভিযোগ করেন, খামার আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের সময় মৃতদেহ ঝুলতে দেখা গেছে এবং ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। আইন প্রত্যাহার করার পরও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার জন্য অভিনেতা-রাজনীতিবিদ, স্বার্থান্বেষী মহল এবং বিদেশি শক্তি দায়ী। বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা এখানেও সহজেই ঘটতে পারত। বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র আছে এবং এরা তাই রপ্ত করে। দেশ কুকুরের কাছে গেলে তাদের কিছু যায় আসে না।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঙ্গনার এই মন্তব্যে তার নিজের দলের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাঞ্জাবের সিনিয়র বিজেপি নেতা হারজিৎ গারেওয়াল রানাউতকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

আনসারের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সমন্বয়ক হাসনাত আহত

0

রাজধানীর সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করেন, আনসার সদস্যরা ছাত্রনেতাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এসময় তাকে শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানাতে দেখা যায়।

এদিন দুপুর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় সচিবালয়, প্রেসক্লাব ও হাইকোর্ট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলন করছিলেন তারা।

ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে শহর জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

তাদের দাবির মধ্যে রেস্ট প্রথা বাতিল, জাতীয়করণের দাবি অন্যতম।

বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের সাথে বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, রেস্ট প্রথা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বাহিনীর সদস্যদের জাতীয়করণের দাবি সুপারিশ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।

কাল প্রত্যাহার হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন

0

স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আদেশ আগামীকালের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন  আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টা দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্রদের আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে। বিষয়টি নিয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে জামায়াতের পক্ষ থেকে অনেকবার আলোচনা করা হয়। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে  জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হবে।’  

ছাড়া জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘জামায়াতকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করে। কিন্তু কী ধরনের সন্ত্রাস সে বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। আমরা বর্তমান সরকারকেও বলেছি, আপনাদের কাছে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য থাকে তাহলে তাও দেখাতে পারেন।  মূলত এটা ছিল কথার কথা। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই এ নিষিদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সে বিষয়ে  বর্তমান প্রশাসন ও উপদেষ্টারা  একমত হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার করার পর আবার আমরা আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করব। সেই রিভিউতে শুনানির পর আমরা বিশ্বাস করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।’

এর আগে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়– “যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং

যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং

যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং

যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে;

সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।”

অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ রিকশাচালকদের

0

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ সাত দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালকরা। ফলে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে থাকা প্রতিটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল  সাড়ে ৯টার পর শাহবাগ মোড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট।

শাহবাগে দেখা যায়, প্যাডেলচালিত রিকশা চালকরা শ্লোগান দিচ্ছেন; ‘ চলবে না ভাই চলবে না, ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারি চালিত রিকশা চলবে না’,  ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে,’ ইত্যাদি। 

ঐক্যজোটের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে রিকশা মালিকানার নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর বা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশাচালক পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।এ ছাড়া বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ির মতো রিকশাকেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব বীর নিহত হয়েছেন ও যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজদের অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে পরিবারকে পূনর্বাসন ও আহতদের সু-চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এবং বিগত সরকারের সময়কালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সরকার দলীয় চাঁদাবাজরা আধিপত্য বিস্তার করে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিশেষ পোশাকে রিকশা পরিচালনা করে আসছিল, সেসব রিকশাগুলোকে বন্ধ করে, পায়ে চালিত বৈধ রিকশাকে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

0

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মানুষের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে আ.লীগ : ডা. শফিকুর রহমান

0

দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে, বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার ছিল না। নিজ দেশে পরবাসের মতো বসবাস করতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির।’

গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বাসিন্দা ইশমামুল হকের কবর জিয়ারত ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির।  

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন শীর্ষ স্থানীয় জনপ্রিয় রাজনীতিবিদকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অনেককে নির্যাতন করে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের ছাত্র-জনতা জেগে উঠে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই সৈরশাসককে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।’এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এস এম আব্দুস সালাম আজাদসহ জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শহীদ ইশমামুলের পরিবারের নিকট নগদ অর্থ হস্তান্তর করেন জামায়াত আমীর। এর আগে তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

ফেনীতে বন্যা দূর্গত পানিবন্দি মানুষের পাশে ড. শফিকুর রহমান

0

ভারিবর্ষণ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ধেয়ে আসা পানিতে আকষ্মিক বন্যায় তলিয়ে যায় ফেনীসহ আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চল। ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী জেলার সদর উপজেলায় বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় আমীরে জামায়াত বিভিন্ন মানু্‌ষের সাথে কথা বলেন এবং সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে যারা এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তাদের সাথে দেখা করে খোজ-খবর নেন এবং তাদের মাঝে ফুড প্যাকেট উপহার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

আমীরে জামায়াত সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০১ টাকা

0

ঢাকা: দেশের বাজারে ফের সোনার দামে রেকর্ড। দুই দিনে ব্যবধানে মূল্যবান এ ধাতুর দাম বাড়ানো হয়েছে।সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৫০১ টাকা।  

বুধবার (২১ আগস্ট ) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৩৪ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৩৮ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ এক হাজার ৮৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ১৮ আগস্ট দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯০৪ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৭৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৩৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৭৯ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে ৮৩ হাজার ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ১৫ জুলাই সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৯০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা,২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এজলাসে কাঁদলেন দীপু মনি, আদালত প্রাঙ্গণে হামলা

0

ঢাকা: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে আদালতে নেওয়ার পথে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তাদের ওপর হামলা করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন দীপু মনিকে ৪ দিন ও জয়কে ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আদালতে নেওয়ার পথে এবং শুনানিকালে দীপু মনি ছিলেন খুব বিমর্ষ। শুনানিকালে কাঁদতে থাকেন তিনি।

মঙ্গলবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়।

তাদের আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ও কিছু সাধারণ মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে যখন সিএমএম আদালতের গেইট দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন একজন রাস্তায় শুয়ে পড়েন। তিনি দীপু মনির ফাঁসির দাবি জানান। পরে সেখান থেকে উঠে গেলে তাদের নিয়ে গাড়ি চলে যায় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়। বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাদের হেলমেট পরিয়ে হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়।  

আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে তাদের এজলাসে তুলতে বেগ পেতে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। আইনজীবীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে তাদের আদালতের দ্বিতীয় তলায় তোলা হয়। একপর্যায়ে এজলাসে তাকে কাঁদতে দেখা যায়।

শুনানির শুরুতে আসামিকে কেন হাতকড়া পরানো হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তখন তাদের জানানো হয়, জয়ের হাতে হাতকড়া আছে। দীপু মনি মহিলা হওয়ায় তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়নি।

এজলাসে আইনজীবীদের হই-হুল্লোড়ের মধ্যেই শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। এরই মাঝে তাদের পক্ষে একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে জয় আদালতের উদ্দেশ্যে কথা বলতে যান। এ সময় তীব্র বিরোধিতা করেন উপস্থিত আইনজীবীরা। তারা চিৎকার, হই-হুল্লোড় করতে থাকেন।  

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, তারা এজাহার নামীয় আসামি নয়, সন্ধিগ্ধ আসামিকে হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিলা হওয়ায় দীপু মনির চারদিন এবং আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

এতে সন্তুষ্ট হননি বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তার ভুয়া, ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। এরই মাঝে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক।

এরপর দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে নিচে নামানো হয়। এরই মাঝে তাদের ওপর হামলা করেন আইনজীবীরা। এ সময় দীপু মনি চিৎকার করে ওঠেন। আর জয় তাকিয়ে দেখেন। পরে দ্রুত তাদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।