Friday, June 6, 2025
Home Blog Page 6

জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে বিচারিক হত্যার অভিযোগ তুললেন ডা. শফিক

0

মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে এতদিন জামায়াত নেতৃবৃন্দের ওপর ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, এ টি এম আজহারুল ইসলামের ওপর আনা সকল মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘদিন ধরে সুবিচারের অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে মুক্ত হলেন তিনি। এ সময়, ক্যাঙ্গারু কোর্ট জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সাজা দিয়েছিল উল্লেখ করে বলেন, বাকিরা বেঁচে থাকলে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন।

https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?gdpr=0&client=ca-pub-4824217372509345&output=html&h=280&adk=2508816157&adf=587344992&pi=t.aa~a.3987509640~i.13~rp.4&w=750&abgtt=6&fwrn=4&fwrnh=100&lmt=1748328700&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=4245962070&ad_type=text_image&format=750×280&url=https%3A%2F%2Fjamuna.tv%2Fnews%2F614942&fwr=0&pra=3&rh=188&rw=750&rpe=1&resp_fmts=3&wgl=1&fa=27&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMTAuMC4wIiwieDg2IiwiIiwiMTI1LjAuNjQyMi4xMTIiLG51bGwsMCxudWxsLCI2NCIsW1siR29vZ2xlIENocm9tZSIsIjEyNS4wLjY0MjIuMTEyIl0sWyJDaHJvbWl1bSIsIjEyNS4wLjY0MjIuMTEyIl0sWyJOb3QuQS9CcmFuZCIsIjI0LjAuMC4wIl1dLDBd&dt=1748328699175&bpp=6&bdt=6408&idt=-M&shv=r20250521&mjsv=m202505200101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D27c380621dee1078%3AT%3D1748156964%3ART%3D1748328620%3AS%3DALNI_MaEJGQH4846pbgqM_sUndfQLJO2uQ&gpic=UID%3D000010e5f24f04b1%3AT%3D1748156964%3ART%3D1748328620%3AS%3DALNI_MbO9JnPkaSv9rEHuCuAcMgogvcp-w&eo_id_str=ID%3Da5b7de6ad6782880%3AT%3D1748156964%3ART%3D1748328620%3AS%3DAA-AfjbBuoIqHSNuap0YgOD-GO6a&prev_fmts=0x0%2C1140x280&nras=3&correlator=8363595292544&frm=20&pv=1&u_tz=360&u_his=1&u_h=768&u_w=1366&u_ah=728&u_aw=1366&u_cd=24&u_sd=1&dmc=8&adx=105&ady=1034&biw=1349&bih=607&scr_x=0&scr_y=0&eid=31092114%2C95333410%2C95353386%2C95361617%2C95360954%2C95360294&oid=2&pvsid=1624047150010812&tmod=1170806733&uas=3&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fjamuna.tv%2F&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1366%2C0%2C1366%2C728%2C1366%2C607&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&bz=1&td=1&tdf=0&psd=W251bGwsbnVsbCwibGFiZWxfb25seV8yIiwxXQ..&nt=1&ifi=3&uci=a!3&btvi=2&fsb=1&dtd=1107

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, এই সাজা দেয়ার সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিবাদ করার কোনও পরিবেশ ছিল না। ৭১’র হত্যাযজ্ঞের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কারো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। সুখরঞ্জন বালি সেই ঘটনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পাতানো ট্রায়ালে সাজা কার্যকর করা হয়েছে। সেই সময় জামায়াত নেতৃবৃন্দের পরিবারগুলো ভেঙে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে, বিচার চলার সময় দুটি টর্চার সেল তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, একটিতে এনে ভিকটিমদের উপর নির্যাতন চালানো হতো। আরেকটি সেফ হোমে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আইন অমান্য করে নির্যাতন চালানো হতো।

এ সময়, স্বচ্ছ বিচার হলে দণ্ড দিতে পারতেন না উল্লেখ করে বলেন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তাদের ফাঁসি ও দণ্ড দেয়া হয়। স্কাইপ কেলেঙ্কারি মাধ্যমে সেই বিচার প্রক্রিয়ার ঘটনা বিশ্ব ও দেশের মানুষের সামনে উঠে আসে।

এর আগে, আজ সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গণভবনের ভেতরে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা: শেখ হাসিনার বিদায়ের আগের ঘটনা

0

গণ–অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে গণভবনে সামরিক কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন রেগে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তাহলে তোমরা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো, গণভবনে কবর দিয়ে দাও।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে এ তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত রোববার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। তিনি শুনানিতে ৪ ও ৫ আগস্টের কিছু ঘটনাবলি তুলে ধরেন, যার বর্ণনা আনুষ্ঠানিক অভিযোগেও উল্লেখ রয়েছে।

শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের ওই সময়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তবে ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এর বিরোধিতা করেন।

গত বছরের ৪ আগস্ট রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক খুবই ‘উত্তেজনাপূর্ণ ও ভয়ংকর’ ছিল বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম। সেই রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী কয়েকজন মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাগারাগি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

‘ডুবিয়েছে এবং আরও ডুবাবে’

ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সেদিন (৪ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে সোয়া ১২টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি তোলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এতে শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হন এবং বলেন, যা হওয়ার হবে, তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না। তিনি সেনাপ্রধানকে মেরুদণ্ড শক্ত করে কঠোর হয়ে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার ওই বক্তব্যের পর তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছিলেন, সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে কিছু লোককে মেরে ফেললে বিক্ষোভ এমনিতেই দমন হয়ে যাবে। এ সময় তারিক আহমেদ সিদ্দিক বিমানবাহিনীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথা বলেন। তবে হেলিকপ্টার থেকে গুলির কথা বলায় বিমানবাহিনীর প্রধান ভীষণ রেগে যান। শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিমানবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘তিনি (তারিক আহমেদ সিদ্দিক) আপনাকে ডুবিয়েছে এবং আরও ডুবাবে।’

‘গ্যাং অব ফোর’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, কঠোর অবস্থানে থাকার জন্য শেখ হাসিনাকে সেই রাতে (৪ আগস্ট) পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘গ্যাং অব ফোর’। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। কোনোভাবেই নরম হওয়া যাবে না, এমন পরামর্শ তাঁরা দিয়েছিলেন।

‘আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো’

গণভবনে ৫ আগস্ট সকালের একটি বৈঠকের কথাও শুনানিতে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৈঠকে তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে দেখিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘ওরা ভালো কাজ করছে, সেনাবাহিনী পারবে না কেন?’ তখন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেন, ‘পরিস্থিতি যে পর্যায় গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এমন কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব না।…অস্ত্র–গোলাবারুদ আর অবশিষ্ট নেই, ফোর্স টায়ার্ড (বাহিনী ক্লান্ত) হয়ে গেছে।’ এরপর সামরিক কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ওই বৈঠকের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা রেগে যান এবং বলেন, ‘তাহলে তোমরা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো এবং গণভবনে কবর দিয়ে দাও।’

ওই বৈঠক থেকে সামরিক কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে গণভবনের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, ওই কক্ষে শেখ হাসিনার কাছে সামগ্রিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হয় এবং তাঁকে পদত্যাগ করতে আবার অনুরোধ করেন সামরিক কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির কারণে গণভবন অভিমুখে ঢাকার চারপাশ থেকে মিছিল আসছে।

একপর্যায়ে শেখ হাসিনাকে ছোট বোন শেখ রেহানা বোঝানোর চেষ্টা করেন বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, শেখ রেহানা একপর্যায়ে শেখ হাসিনার পা জড়িয়ে ধরেন। কিন্তু শেখ হাসিনা রাজি (পদত্যাগে) হচ্ছিলেন না। পরে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে কথা বলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জয়কে সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, প্রাণে বাঁচাতে হলে তাঁর মায়ের পদত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই। সময় গুরুত্বপূর্ণ। আর এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন জয় এবং তাঁর কথায় ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনা একটি ভাষণ রের্কড করে টেলিভিশনে প্রচারের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। তবে সামরিক কর্মকর্তারা তাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সময়–সংকটের কারণে শেখ হাসিনাকে গোছানোর জন্য ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয় উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, কারণ গণভবন অভিমুখে লাখ লাখ ছাত্র-জনতার মিছিল আসছিল।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় আইএসপিআর থেকে বিটিভির মহাপরিচালককে জানানো হয়, সেনাপ্রধান বেলা দুইটায় জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। অবশ্য সেনাপ্রধান বক্তব্য দেন বিকেল চারটায়। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আগে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনা একটি ভাষণ রের্কড করে টেলিভিশনে প্রচারের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। তবে সামরিক কর্মকর্তারা তাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় আইএসপিআর থেকে বিটিভির মহাপরিচালককে জানানো হয়, সেনাপ্রধান বেলা দুইটায় জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। অবশ্য সেনাপ্রধান বক্তব্য দেন বিকেল চারটায়। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আগে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ক্রমেই বাড়ছে চাপ

0

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, রাজনীতিক, এমনকি সামরিক বাহিনীর দিক থেকেও একের পর এক দাবি ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার।

সোমবার (২৬ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই এই সরকার এক অস্থির বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, সোমবার (২৫ মে) দেশটির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তারা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

একই সঙ্গে সরকারি কর্মচারীরাও কর্মবিরতি পালন করছেন। টানা তিনদিন ধরে তারা বিক্ষোভ করে আসছেন।

কারণ, সরকার রোববার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে, যার ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াই সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করতে পারবে। কর্মচারীদের ভাষায়, এটি একটি ‘দমনমূলক’ উদ্যোগ।

এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের ঘোষণায় রাজস্ব কর্মকর্তারাও প্রতিবাদে নামে। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও অনিশ্চয়তা ঘনিয়ে এসেছে। ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তার সরকার নানা মহলের চাপের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে এখনো কোনো সুস্পষ্ট সময়সূচি না থাকায় অসন্তোষ বাড়ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচন ও সংস্কারের পরস্পরবিরোধী দাবির মাঝে পড়ে গেছে। ড. ইউনূস জানিয়েছেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চলতি বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছে।

এ পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও ঘনীভূত হয় যখন ছাত্রনেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক শীর্ষ নেতা দাবি করেন— রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার ও নির্বাচনকালীন সময়সূচি নিয়ে একমত হতে না পারলে ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, ইউনূস এখনই সরে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ শেষ না করা পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছি না।

অপরদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের পাশাপাশি সেনাবাহিনী থেকেও স্পষ্ট বার্তা এসেছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি এক বক্তব্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন, যা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময়সীমার (২০২৬ সালের জুন) সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এই সংকট মোকাবিলায় ইউনূস তার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকেন এবং বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, ছাত্রনেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর আমাদের অস্থিতিশীল করার নানা চেষ্টাও চলছে। আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে, যার ফলে দলটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ সিদ্ধান্তকে ঘিরেও রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি এক কঠিন সময়। একদিকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রম—এই দুই চাপের মাঝখানে পড়ে সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে প্রশাসনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত কেন

0

গত ২০ মে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের তিন বাহিনীর সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই বৈঠক এমন এক সময় হয়েছে যখন ঢাকায় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে বলে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা আল–জাজিরাকে জানিয়েছে।

এ ঘটনাকে দেশের সামাজিক ও মূলধারার গণমাধ্যমে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একধরনের ‘স্নায়ু যুদ্ধ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই টানাপোড়েন এখন ইউনূসের ভূমিকার ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে। 

২০২৪ সালের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা সংঘটনের অভিযোগ উঠেছে।

ইউনূস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন—এমন গুজব ছড়ানোর মধ্যে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে গতকাল শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের আরেক বৈঠকের পর পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই আছেন, তিনি পদত্যাগের কথা বলেননি, অন্য উপদেষ্টারাও আছেন, আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি।’ তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ অচলাবস্থা এখনো কাটেনি।

সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনার কারণ কী

শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দেশের বেসামরিক আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকে, বহু থানায় পুলিশ সদস্যরা অনুপস্থিত থাকেন ও জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী মোতায়েন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। যদিও গত আগস্টের মাঝামাঝি পুলিশ আবার কার্যক্রম শুরু করেছে, তারপরও দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে বেসামরিক-সামরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বজায় রাখা হয়েছে।

গত বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খোলাখুলি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তিনি সতর্ক করে বলেন, সেনাবাহিনীকে দীর্ঘ সময় ধরে বেসামরিক কাজে নিয়োজিত রাখলে তা দেশের প্রতিরক্ষা দুর্বল করতে পারে।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটি শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব, অনির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মাধ্যমে সম্ভব নয়।’ 

সেনাপ্রধানের মন্তব্যে এ ভিন্নমতের ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তিনি ইউনূস প্রশাসনের ঘোষিত অবস্থানের সঙ্গে একমত নন। অন্তর্বর্তী প্রশাসন বলেছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝির আগে কোনো নির্বাচন নয়। কেননা, প্রথমে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কারের জন্য সময় দরকার, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কি অন্তর্বর্তী সরকারের উত্তেজনা রয়েছে

হ্যাঁ, উত্তেজনা রয়েছে। কারণ গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দিক থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে এটি। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়। এক্ষেত্রে তারা অনড়। অন্যদিকে এ বছরের শুরুতে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল বলছে, যেকোনো নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে ব্যাপক সংস্কার ও গত বছরের ছাত্র আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনায় জড়িত সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি ও দেশের আরেকটি বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক হয়েছে।

ড. ইউনূস কি পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন

গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর ঘোষণা দেওয়া হয়, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে পদত্যাগ করছেন না। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পেতে শুরু করে, ইউনূস বৃহস্পতিবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এবং টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এর আগে এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলে ব্যাপক আলোচনা।

ওই দিন সন্ধ্যায় জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা ও সদ্য গঠিত এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই ছাত্র উপদেষ্টা। ইউনূসকে দায়িত্বে থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানান নাহিদ ইসলাম।

বৈঠক শেষে নাহিদ বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেন, অধ্যাপক ইউনূস সত্যিই পদত্যাগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছিলেন।

মুহাম্মদ ইউনূস কেন পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনূস ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপে পড়ে হয়তো পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন।

দুজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় একটি পত্রিকা বলেছে, ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের জানান, গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলো ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও দেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিভিন্ন খবরে জানা যায়, ইউনূস এমন মন্তব্য করেছেন যে তাঁর পক্ষে দায়িত্ব পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য চাপ বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা খুব কম।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, (এমন পরিস্থিতিতে) যেকোনো নির্বাচন হলে তা হস্তক্ষেপ বা কারচুপির শিকার হতে পারে এবং তিনি এর দায় নিতে চান না।

পরে ইউনূস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর বিবিসি বাংলাকে দেওয়া বক্তব্যে নাহিদ নিশ্চিত করেন, ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছিলেন এবং বলেন, ইউনূস নিজেকে আন্দোলন ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার কাছে ‘জিম্মি’ মনে করছেন।

ইতিমধ্যে মুহাম্মদ ইউনূসের উচ্চাভিলাষী সংস্কার কর্মসূচি হোঁচট খাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গগুলো ক্রমেই বেশি অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

মুহাম্মদ ইউনূস কেন পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনূস ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপে পড়ে হয়তো পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন।

দুজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় একটি পত্রিকা বলেছে, ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের জানান, গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলো ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও দেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিভিন্ন খবরে জানা যায়, ইউনূস এমন মন্তব্য করেছেন যে তাঁর পক্ষে দায়িত্ব পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য চাপ বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা খুব কম।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, (এমন পরিস্থিতিতে) যেকোনো নির্বাচন হলে তা হস্তক্ষেপ বা কারচুপির শিকার হতে পারে এবং তিনি এর দায় নিতে চান না।

পরে ইউনূস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর বিবিসি বাংলাকে দেওয়া বক্তব্যে নাহিদ নিশ্চিত করেন, ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছিলেন এবং বলেন, ইউনূস নিজেকে আন্দোলন ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার কাছে ‘জিম্মি’ মনে করছেন।

ইতিমধ্যে মুহাম্মদ ইউনূসের উচ্চাভিলাষী সংস্কার কর্মসূচি হোঁচট খাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গগুলো ক্রমেই বেশি অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা 

নতুন নোটে আসছে যেসব পরিবর্তন

0

শিগগিরই দেশের বাজারে আসছে নতুন নকশার টাকার নোট।  নতুন নকশার টাকায় কোনো কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।  জানা গেছে, নতুন নোটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।  সব নোটে রয়েছে নতুন গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের স্বাক্ষর।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই আগামী ২ অথবা ৩ জুন সাধারণ মানুষ হাতে পাবে।  পর্যায়ক্রমে অন্য মূল্যমানের নোটও বাজারে আসবে।  নোটগুলো বাজারে ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখানো হবে।

জানা গেছে, ১০০ টাকার নতুন নোটে এক পাশে রয়েছে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ও জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জলছবি।  অপর পাশে দেখা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’, যেখানে রয়েছে এক ঝাঁক হরিণ ও একটি বাঘের ছবি।  সাদা অংশে বাঘের জলছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

নতুন ২০০ টাকার নোটে হালকা হলুদ রঙে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য। অপর পাশে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি—মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় পোশাক ও উপাসনালয়সহ উপস্থাপিত হয়েছে। মাঝখানে সবুজের মধ্যে রয়েছে দেশের মানচিত্র।

নতুন ৫০০ টাকার নোটে একপাশে স্থান পেয়েছে জাতীয় চেতনায় অনন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অপর পাশে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।

১০০০ টাকা মূল্যমানের নোটে এক পাশে রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। অপর পাশে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন

সার্বভৌমত্ব ও করিডোর ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থানে সেনাবাহিনী

0

করিডোর স্পর্শকাতর বিষয়, দেশের সার্বভৌম ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয় হলে তা প্রতিহত করা হবে। সোমবার (২৬ মে) সেনা সদরে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনী জানায়, সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন নেই, দেশের স্বার্থে সেনাবাহিনী আপসহীন। কেএনএফের ৩০ হাজার ইউনিফর্ম বানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গত একমাসে কেএনএফের ১ হাজার ৯৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজারের বেশি কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ৪ হাজারের বেশি মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। সরকারের নির্দেশনা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্তে পুশইন কোনোভাবে কাম্য নয়, সেনাবাহিনী যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন হলে সরকারের নির্দেশনায় যুক্ত হবে। তবে এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এছাড়াও মব তৈরির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, কেউ মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

সংস্কারে বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব: হাসনাত

0

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। সংস্কারকাজে সচিবালয়সহ কেউ বাধা তৈরি করলে তা সহ্য করা হবে না। দেশের মানুষকে নিয়ে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

সোমবার (২৬ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানে পথসভা কর্মসূচির আগে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের আগে এনবিআর, কাস্টমসসহ নানা সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। সেসব প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে সচিবালয়সহ কেউ বাধা তৈরি করলে তা সহ্য করা হবে না। সংস্কার কাজে বাধা এলে দেশের মানুষকে নিয়ে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

দলের পথসভা কর্মসূচির দ্বিতীয়দিন ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়িসহ নানা উপজেলায় পথসভা করবে এনসিপি।

রাইদা বাস কেনাবেচার লেনদেন নিয়ে বিরোধ, খুন হন আনোয়ার: পুলিশ

0

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার হত্যার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও মো. শাকিল (১৮)। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পুলিশ  এর আগে রোববার (২৫ মে) আশুলিয়া ও দিয়াবাড়ি এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে,  রাইদা বাস ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কয়েকজন সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ার হোসেন সিকদারকে রাইদা বাস ডিপোর ভিতরে হত্যা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিসি (উত্তরা বিভাগ) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্ত্বর এলাকায় অবস্থিত রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার (৫৩) গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে রাইদা ডিপোর উদ্দেশে বের হন। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাকে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৮ জানুয়ারি তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার। 

তিনি আরও জানান, জিডির প্রাথমিক তদন্তকালে তথ্য পাওয়া যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাব্য হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। অতঃপর রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কালাম ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তুরাগ থানা পুলিশ দিয়াবাড়ী মেট্রো গোলচত্ত্বরের ডেসকো অফিসের পূর্ব পাশে রাইদা ডিপোর ভিতরের উত্তর পাশের টিনের বেড়া সংলগ্ন মাটির নিচ থেকে আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আনোয়ারের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতরাসহ আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় রোববার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

ডিসি মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা সবাই রাইদা বাসের চালক। গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে রাইদা বাস ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা ও তাদের কয়েকজন সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ার হোসেন সিকদারকে রাইদা বাস ডিপোর ভিতরে হত্যা করেন। তারা প্রথমে ভিকটিমের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে গলায় ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর তারা লাশ গুম ও প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশে নিহত আনোয়ারের মৃতদেহ বাস ডিপোর উত্তর পাশে টিনের বেড়ার কাছে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আর্জেন্টিনায় সিনেমা চলার সময়ই ধসে পড়ল হলের ছাদ

0

আর্জেন্টিনার লা প্লাটার সিনেমা ওচো হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সময় একটি অবিশ্বাস্য দুর্ঘটনা ঘটেছে— মুভি ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’ দেখার সময় দর্শকদের মাথার ওপরেই ধসে পড়েছে সিনেমা হলের ছাদ! এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ তথ্য জানায়।

 গত সোমবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় সিনেমা ওচোতে মুভির স্ক্রিনিং চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। ছাদের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে ২৯ বছর বয়সী ফিয়াম্মা ভিলাভের্দের ওপর, যিনি তার ১১ বছরের কন্যা ও এক বন্ধুর সাথে সিনেমা দেখছিলেন।

ফিয়াম্মা ভিলাভের্দে বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটি মুভিরই অংশ, কিন্তু পরে একটি বড় টুকরো আমার উপর পড়ে!’

ধ্বংসস্তূপ তার কাঁধ, পিঠ, হাঁটু ও গোড়ালিতে আঘাত করে। মাথায় খানিকটা আঘাত পাওয়ার কারণে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তার শরীরে কালো দাগ শনাক্ত করে।

এমন আঘাত পাওয়ার পর ফিয়াম্মা বর্তমানে সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ভিড়ের জায়গায় যেতে ভয় পান। তিনি সিনেমা হলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনা করেছেন, কারণ চোটের কারণে তাকে কয়েক দিন কর্মস্থলে জেতে নিষেধ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাদ ধসের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, সিনেমা হলের মেঝে জুড়ে ছাদের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও ওই সময় দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যদিও বড় ধরনের প্রাণহানি রিপোর্ট হয়নি।

সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ মুভিটির সিরিজগুলো বেশ পরিচিত অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর নাটকীয় দৃশ্য জন্য, যেখানে চরিত্রগুলো দুর্ঘটনায় মারা যায়। সিনেমা হলে আসল জীবনেই এমন দুর্ঘটনা ঘটায় দর্শকরা হতবাক।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ঘোষণা করলো মাল্টা

0

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা এই ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম মাল্টা টাইমস এ তথ্য জানায়।

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা ঘোষণা করেছেন, তার দেশ আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

গাজায় চলমান ব্যাপক সংঘাত সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাল্টা মানবিক ট্র্যাজেডির দিকে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না।

তিনি বলেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মে) ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ডাক্তার পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যদের আশ্রয় দিতে মাল্টা প্রস্তুত।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি অনুযায়ী, হামলায় আল-নাজ্জারের স্বামী ও বেঁচে যাওয়া ১১ বছর বয়সী এক ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মে) খান ইউনিসে আল-নাজ্জার পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আল-নাজ্জারের দশ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই নিহত হয়েছে।

এই নয় শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয় দুই ডাক্তার হামদি আল-নাজ্জার এবং তার স্ত্রী আলা আল-নাজ্জারের বাড়ি থেকে। 

প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বলেন, ‘মাল্টা আল-নাজ্জার এবং তার স্ত্রী আলা আল-নাজ্জারের পরিবারকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত এবং তাদের নিজেদের পরিবারের মতোই বিবেচনা করবে।