হাতিরঝিল থেকে জি-টিভির নিউজরুম এডিটর রাহানুমা সারার মরদেহ উদ্ধার। তার মৃত্যুর কারন সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
‘জনগণ আওয়ামী লীগকে কীভাবে দেখে, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আওয়ামী লীগ নিজেদের কীভাবে দেখে’:জামায়াতে আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু দলটি তাদের অর্জন ধরে রাখতে পারেনি। তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে কীভাবে দেখে, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আওয়ামী লীগ নিজেদের কীভাবে দেখে। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএমসিএবি)–এর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করে লক্ষ্মণ সেনের মতো দেশ ত্যাগ করা ওনার জন্য মানানসই হয়নি। জামায়াত নেতারা কখনও দেশ ত্যাগ করেননি। তাঁরা মোকাবিলা করেছেন। আমাদের নেতারা জেল-জুলুম বুকে ধারণ করে দেশেই ছিলেন। কখনও দেশ ত্যাগ করেননি।’
এই মুহূর্তে জামায়াত কী করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির আমির শফিকুর রহমান বলেন, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একজন প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। দেশে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। পুলিশ বাহিনী জনগণের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। দেশকে সংস্কার করতে হবে। এই মুহূর্তে জামায়াতের প্রধান কাজ হলো ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানো।
আইএমসিএবির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান নিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দলের আমির বলেছেন, তাঁরা চান দেশে দ্রুত শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসুক। দেশের সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার হওয়া দরকার। দল বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা যাবে না। তাঁরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। জামায়াত দল হিসেবে সবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
এ প্রসঙ্গে তাঁর দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘দেশের কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে আমাদের অপবাদ দেওয়া হতো। এমনকি, গাইবান্ধায় যখন একজন সংসদ সদস্য নিহত হলেন, তখন সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এই হত্যার জন্য জামায়াতকে দায়ী করলেন। পরে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, জামায়াত সব সময় গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছে। জামায়াতের দুজন মন্ত্রী সরকার পরিচালনায় ছিলেন। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কখনো তাঁদের স্পর্শ করেনি। মানুষের দুঃখ-মসিবতে পাশে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিল না, এখনো নেই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য দায়ী করে ১ আগস্ট তৎকালীন সরকার অন্যায়ভাবে নির্বাহী আদেশবলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, যা দল হিসেবে জামায়াতের ওপর বড় জুলুম।
জামায়াতের আমির বলেন, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় পাহারাদারের ভূমিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, সহায় সম্পদ, ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছি, যাতে কেউ ভাঙচুর করতে না পারে। আমরা বিশ্বাস করি সকল মানুষ সমান। এখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর কোনো প্রশ্ন নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি কোথাও প্রমাণিত হয় যে আমাদের একজন কর্মী সন্ত্রাস করেছে, তাহলে আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাইব এবং নিজেরা আইনের হাতে সোপর্দ করব।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএমসিএবি)-এর প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন বাসুদেব ধর, প্রদীপ্ত নারায়ণ, ফরিদ হোসেন, রাজিব খান, কুদ্দুস আফ্রাদ, মাসুম বিল্লাহ, মিজানুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আবু আলী, আমিনুল হক ভূঁইয়া, সিয়াম সরোয়ার জামিল, কাউসার আযম, তারিকুল ইসলাম, রাজীব খান, শাহীন পারভেজ, জাকির হোসেন, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষযাদি আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ করেন। তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে।’
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ অনুসন্ধান করতে আগ্রহী। তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে। এ ছাড়া রাশিয়া বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
জামায়াত কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিলো না: জামায়াতে আমীর ডা. শফিকুর রহমান
ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএমসিএবি)-এর সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “জামায়াত কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিলো না, এখনো নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি কোথাও প্রমাণিত হয় যে, আমাদের একজন কর্মী সন্ত্রাস করেছে, তা হলে আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাবো এবং নিজেরা নিজেদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করবো।”
২৭ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার, মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএমসিএবি)-এর সাথে এক মতবিনিময় সভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
এ মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএমসিএবি)-এর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বাসুদেব ধর, প্রদীপ্ত নারায়ণ, ফরিদ হোসেন, রাজিব খান, কুদ্দুস আফ্রাদ, মাসুম বিল্লাহ, মিজানুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আবু আলী, আমিনুল হক ভূইয়া, সিয়াম সরোয়ার জামিল, কাউসার আযম, তারিকুল ইসলাম, রাজীব খান, শাহীন পারভেজ, জাকির হোসেন, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত সর্বদাই গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছে। জামায়াতের দু’জন মন্ত্রী সরকার পরিচালনায় ছিলেন। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কখনো তাদের স্পর্শ করেনি। জামায়াত দেশ ও জাতির জন্য কাজ করেছে। দুঃখ, মুসিবতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিলো না। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি যদি কোথাও প্রমাণিত হয় আমাদের একজন কর্মী সন্ত্রাস করেছে তা হলে আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাবো এবং নিজেরা নিজেদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করবো। দেশের কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে আমাদেরকে অপবাদ দেয়া হতো। এমনকি গাইবান্ধায় যখন একজন এমপি নিহত হলেন, তখন সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী হত্যার জন্য জামায়াতকে দায়ী করলেন। পরবর্তীতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য দায়ী করে সরকার ১ আগস্ট অন্যায়ভাবে নির্বাহী আদেশবলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, যা দল হিসেবে আমাদের উপর সবচাইতে বড় জুলুম। আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, সহায় সম্পদ, ধর্মীয় উপাসনালয় পাহাড়া দিয়েছি যাতে কেউ ভাঙচুর করতে না পারে। আমরা বিশ্বাস করি সকল মানুষ সমান। এখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর কোন প্রশ্ন নেই। নাগরিক হিসেবে সকলেই সমান অধিকার পাবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই দেশে দ্রুত শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসুক। দেশের সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার হওয়া দরকার। দল বা ধর্মের ভিত্তিতে কোন বিভাজন করা যাবে না। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা দল হিসেবে সকলের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা অসত্য বা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে কাউকে হয়রানি করা পছন্দ করি না। জামায়াত কখনো কোন হয়রানিমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না, এখনো নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীরে জামায়াত বলেন, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। একজন প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। দেশে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন সিষ্টেম বলতে কিছু নেই। পুলিশ বাহিনী জনগণের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে। দেশকে সংস্কার করতে হবে। এই মুহূর্তে জামায়াতের প্রধান কাজ হলো ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত, আহত ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। কিন্তু তারা তাদের অর্জন ধরে রাখতে পারেনি। জনগণ আওয়ামী লীগকে কিভাবে দেখে, তার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে কিভাবে দেখে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে আমীরে জামায়াত বলেন, সাড়ে পনেরো বছর দেশ শাসন করে লক্ষণ সেনের মত দেশ ত্যাগ করা উনার জন্য মানানসই হয় নাই। জামায়াত নেতারা কখনো দেশ ত্যাগ করেননি। তারা মোকাবেলা করেছেন। আমাদের নেতৃবৃন্দ জেল-জুলুম বুকে ধারণ করে দেশেই ছিলেন। কখনো দেশ ত্যাগ করেননি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদদের জন্য দোয়া করলেন “প্রিন্সিপাল ইকবাল”
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত তেলিগ্রাম, স্কুল মাঠে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদদের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ’সময় বক্তব্য রাখেন, এবং মোনাজাত করেন, “প্রিন্সিপাল ইকবাল” (সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাবনা জেলা শাখা)।
ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও শেয়ারবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
ব্যাংকিং, রাজস্ব ও শেয়ারবাজার খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতের সময় এ আগ্রহের কথা জানান যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বৈঠক শেষে ড. সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশের জন্য এসব সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমাদের অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। কারণ এই সংস্কারগুলো ছাড়া আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।’
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সহায়তা সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবসা-বাণিজ্য বিকশিত হোক। যুক্তরাজ্য সরকার অতীতে খুব সহায়ক ছিল এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবে এই আশা করছি। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে আমাদের রপ্তানি বর্তমানে তৈরি পোশাকের দখলে থাকায় আমি তাদের আমদানি পণ্য বহুমুখীকরণের আহ্বান জানিয়েছি।’
বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আরও আকৃষ্ট করতে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে; তা না হলে বেসরকারি খাত বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে না।’ বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ আখ্যায়িত করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ওপর জোর দেন। আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে এবং উপদেষ্টার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সংস্কারকে সমর্থন করতে আগ্রহী। এসব সংস্কারকে এগিয়ে নিতে এবং দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আমাদের বিশেষজ্ঞরা কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
যুক্তরাজ্য থেকে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, কুক দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারত্বের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগের শক্তিশালী পরিবেশ রয়েছে এবং অবশ্যই আমরা বাংলাদেশে আরও এফডিআই দেখতে চাই। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা দায়িত্বশীল এবং আমরা তাদের আস্থা তৈরি এবং আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব খাত সম্প্রসারণে দক্ষ রাজস্ব উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। এ ছাড়া এ কাজে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়ানোর প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে ঢাকা সফরের সময় দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে এই প্রস্তাব পৌঁছে দেন।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত আটক
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
ধৈর্য ধরুন, গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিন : অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার অনুরোধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদের কাজ করার সুযোগ দিন। অন্তর্বর্তী সরকারকে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখে ফেরার সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
গতকাল রোববার রাতে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় হাসনাত আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হন। তাকে দেখে ফেরার সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে আন্দোলনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল আনসার সদস্য গায়ের জোরে ঢুকে পড়েছিলেন। যারা জীবন দিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে বুলেটের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিলেন, সেই ছাত্ররা এসেছিলেন তাঁদের কথা শোনার জন্য, শান্ত করার জন্য। কিন্তু তাঁরা সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে ছাত্রদের আঘাত করেন। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকে আহত হন।
দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আন্দোলন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ‘মাত্রই তো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এত দিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এত দিন দাবি জানাননি কেন? সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুটা সময় ধৈর্যধারণ করুন। তাদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিন। তাদের এভাবে ব্যতিব্যস্ত রাখলে কাজ করবে কীভাবে?’
হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম জনগণ মেনে নেবে না। এ ধরনের দুঃসাহস আবারও দেখালে জনগণ ক্ষমা করবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চাওয়া রিটের শুনানি পেছাল
ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল চাওয়া রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির দিন পিছিয়ে এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান অনুযায়ী আছেন। তারা কতদিন থাকবেন, সেটা আদালতের আদেশের জন্য নিয়ে আসার বিষয় না। রিটের এই বিষয়টি মেইনটেবল না।’
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে রিট আবেদনে যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে শেখ হাসিনা রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি দায়ের করেন।
রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।