Wednesday, September 3, 2025
Home Blog Page 4

সাত দিনের অভিযানে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ৩৯০ জন

0

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তসহ ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, চোরাই মুঠোফোন, ওয়াকিটকি, পাসপোর্ট, জালনোট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্পাঞ্চলে সম্ভাব্য অস্থিরতা রোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়-সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুর হাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি ঈদযাত্রা সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

নিম্নচাপ স্থলে অবস্থান করছে, ৫টি বিভাগে হতে পারে ভারী বৃষ্টি

0

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখন স্থলভাগে উঠে এসেছে। ‌ পরিণত হয়েছে স্থল গভীর নিম্নচাপে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই এটি স্থলভাগে উঠে আসে। আর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। যদিও এর প্রভাব আজ শুক্রবার সারা দিন ধরেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,  এর প্রভাবে আজ দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল শনিবারও এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বেশ কিছু এলাকায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি গতকাল রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে ছিল। পরবর্তীতে এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে আজ ময়মনসিংহ ,খুলনা , বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ভারী বৃষ্টি বলতে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বোঝায় আর অতি ভারী বৃষ্টি হয় ৮৮ মিলিমিটারের ওপর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ সকাল সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি এখনো স্থল গভীর নিম্নচাপ রূপে আছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে  এগোচ্ছে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হবে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টি হচ্ছে ঝিরঝির করে। রাজধানীতেও আজ সারা দিন এভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।

এটিএম নাজমুল হক বলেন, আগামীকাল শনিবার রংপুর , রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের পরবর্তী সময়ে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টি হতে পারে।

গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরদিন বুধবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে  পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে প্রথমে নিম্নচাপ পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ১৬৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় অতি বর্ষণের কারণে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উঁচু জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলা-পটুয়াখালীসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।

ডিসেম্বরের নির্বাচনের পক্ষে শুধু একটি দল: প্রধান উপদেষ্টা

0

বাংলাদেশের সব দল নয়, মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের রাজধানী টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ফিউচার অব এশিয়া’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত এবং গণতন্ত্র মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন- এ তিনটি দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার পালন করবে এমনটা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কি-না, তা নির্ভর করছে সংস্কার কতটুকু সম্পন্ন হয়, এর ওপর। ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়া নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলই বলছে, কিন্তু সব দল নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে গেলে তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করতে হবে। ভালো করে সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরের পর আরও ৬ মাস প্রয়োজন। নির্বাচিত দলের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এ সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। 

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সবসময় নিশ্চিত থাকছে না। এশিয়া ও তার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং শান্তি দিন দিন অধরা হয়ে উঠছে। ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে। 

আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নির্মম রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এর গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

ড. ইউনুস বলেন, সম্প্রতি আমাদের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা কোটি কোটি টাকা যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করছি, অথচ লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে বা ন্যূনতম চাহিদার জন্য লড়াই করছে। এ সময় তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ বেড়ে যাওয়ায় মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার ভিত্তি চ্যালেঞ্জের মুখে এবং আর্থিক বৈষম্য সমাজে বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভাজনের কারণে অসন্তোষ ও অস্থিরতা দেখা গেছে, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ডেকে এনেছে। বহুমুখী অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে।

বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া অনিশ্চয়তার কেন্দ্রস্থলে, একই সঙ্গে সম্ভাবনারও কেন্দ্রে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, কিন্তু আমাদের সম্মিলিত শক্তিও বিশাল। এ বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সামনে একটি সুযোগ, এমনকি একটি দায়িত্ব রয়েছে ভিন্ন পথ দেখানোর : শান্তির, সংলাপের, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের। শুধু সংখ্যাগত নয়, মানুষের কল্যাণ, আস্থা ও আশার উন্নয়ন। 

তিনি আরও বলেন, এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতির বিষয় নয়, এটি মানুষের, ভাবনার এবং সাহসের বিষয়। ভয়ের দ্বারা নয়, সম্ভাবনার দ্বারা; শক্তির দ্বারা নয়, উদ্দেশ্যের দ্বারা পরিচালিত হই। চলুন, একটি উত্তম বিশ্বের কল্পনা করতে সাহসী হই। চলুন, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখি। চলুন, শুধু প্রয়োজনীয়তার কারণে নয়, বরং আন্তরিক ইচ্ছে থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি-আমরাই তা একসঙ্গে লিখব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপান একসঙ্গে কাজ করে এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্যও পুনর্লিখন করতে পারে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা কামনা দ্রৌপদী মুর্মুর

0

ঢাকা: গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভারতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এই প্রত্যাশা করেন।

নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

ভারতের রাষ্ট্রপতি মুর্মু রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের পুনর্ব্যক্ত করেন। ‌‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ কল্পনা করি,’ রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন,  ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রদত্ত অভিন্ন ত্যাগের ওপর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নিহিত। ভারতের রাষ্ট্রপতি অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং বর্ধিত সংযোগের জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেছেন। দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতির পদ গ্রহণের জন্য তিনি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারত্ব জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ উভয় দেশের যুবসমাজের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গত ১৪: এপ্রিল দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে   যোগ দিয়েছেন।

দিল্লিতে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে আঞ্চলিক সংস্থা ও বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিষয় দেখভাল করতেন তিনি।

অভিজ্ঞ কূটনীতিক রিয়াজ হামিদুল্লাহ নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বিসিএস ফরেন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা রিয়াজ হামিদুল্লাহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে বিভিন্ন উইংয়ে নিয়োজিত ছিলেন।  

এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘ ও নয়াদিল্লি মিশনেও বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।

এর আগে গত ১৫ মে রিয়াজ হামিদুল্লাহসহ ৫ দূতের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।

সৌদি আরবের লক্ষ্য এখন রোনালদোকে ধরে রাখা

0

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সৌদি আরবে ধরে রাখতে তাঁর সঙ্গে ‘কঠিন’ এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির অফিশিয়ালরা। সহজ কথায় আলোচনাটি স্বস্তিদায়ক হচ্ছে না কিংবা ফলপ্রসূ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ বিষয়ে জানেন, এমন এক সূত্র খবরটি জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে।

গত মঙ্গলবার আল নাসর সৌদি প্রো লিগের মৌসুম শেষ করার পর ক্লাবটি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন রোনালদো। আল ফাতেহর কাছে ৩-২ গোলে হেরে তৃতীয় হয়ে লিগ শেষ করে আল নাসর। রোনালদোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডলে এরপর লেখা হয়,‘এই অধ্যায় শেষ। গল্পটা? এখনো লেখা হচ্ছে। সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’  আল নাসরের সঙ্গে রোনালদোর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। ৪০ বছর বয়সী পর্তুগিজ কিংবদন্তি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ২০২২ সালে আল নাসরে যোগ দেন। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রোনালদোর খেলার গুঞ্জন চলছে।

রোনালদোর ক্লাব আল নাসর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অনেকের ধারণা, ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতেই আল নাসর ছাড়তে চান রোনালদো। এ নিয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কিছুদিন আগে বলেছেন, রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে ‘আলোচনা চলছে’।

সৌদি আরব থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে শুধু আল হিলাল। এএফপিকে সূত্র জানিয়েছে, দলবদলের মাধ্যমে আল নাসর থেকে রোনালদোকে আল হিলালে পাঠানো হতে পারে। সৌদি আরবের সরকারি বিনিয়োগ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) দেশটির ফুটবলে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। পিআইএফের সেই সূত্র বলেছেন, সৌদি প্রো লিগের আগামী মৌসুমে ‘থাকার জন্য রোনালদোকে রাজি করাতে তাঁর সঙ্গে কঠিন এক আলোচনা চলছে।’

রোনালদোর বিষয়ে আল নাসরের অবস্থান আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ক্লাবটির পরিচালক ফার্নান্দো হিয়েরো, ‘আমরা তার চুক্তি নবায়নের চেষ্টা করব, যেন সে আমাদের সঙ্গে চালিয়ে যেতে পারে। তাকে সই করাতে অনেক ক্লাবই আগ্রহী। চুক্তি নবায়ন করতে আমরা রোনালদোর সঙ্গে আলোচনা করছি। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমরা সমাধান খুঁজে বের করতে পারব।’

রোনালদোকে নিয়ে এএফপিকে সেই সূত্র আরও বলেছেন, ‘প্রথম পথটা হলো আল আহলিতে যোগদান, যেখানে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকবে। কিংবা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন আল আহলিতে যোগদান।’

তেলসমৃদ্ধ সৌদির সরকারি স্বাধীন বিনিয়োগ তহবিল পিআইএফ প্রো লিগে আল নাসর, আল হিলাল ও আল আহলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

খেলোয়াড় সই করাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দলকে ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দলবদলের বিশেষ সময় দেবে ফিফা। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপ।

রোনালদোর সৌদি প্রো লিগে যোগদান দেশটির ঘরোয়া ফুটবলে কত প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন সেই সূত্র, ‘গত আড়াই বছরে সৌদি প্রো লিগের উন্নতিতে অন্যতম বড় ভূমিকা রোনালদোর উপস্থিতি। অভিজাত ও তরুণ খেলোয়াড়দের সৌদি আরবে আসার দ্বার খুলেছেন তিনি।’

আল নাসর এবার লিগে তৃতীয় হলেও ৩০ ম্যাচে ২৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রোনালদো। গত মাসে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া আল নাসরের হয়ে সৌদি লিগ কিংবা মহাদেশীয় ট্রফি জিততে পারেননি।

পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী ৪০ বছর বয়সী রোনালদো গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি আল নাসরেই ক্যারিয়ার শেষ করতে পারেন। সৌদি রাজপরিবারের অনেকেরই পছন্দের ক্লাব আল নাসর। প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে ইউরোপের বেশ কিছু বড় তারকাকে নিজেদের ঘরোয়া ফুটবলে নিয়ে এসেছে সৌদি আরব। ২০৩৪ বিশ্বকাপও আয়োজন করবে দেশটি।

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে: খালেদা জিয়া

0

দেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে তাঁর ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে জিয়াউর রহমান শাহাদাতবরণ করেছেন, সে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আজ পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। খুব শিগগির বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক আমাদের অঙ্গীকার।’ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলার জন্য বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘মনে রাখবেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওই আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন। সভায় ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ । অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। সভার সঞ্চালক ছিলেন বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন।

১ জুন থেকে চলবে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট

0

বাজারে আসছে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট। আগামী ১ জুন থেকে এই নোটগুলো বাজারে ছাড়া হবে। এসব নোট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কার্যালয় থেকে ছাড়া হবে। এসব নোটের ডিজাইন ও প্রতীকে আসছে পরিবর্তন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

এসব নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা চালু থাকবে। এ ছাড়া মুদ্রা সংগ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মিত নোটের পাশাপাশি ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমান নমুনা নোট (যা বিনিময়যোগ্য নয়) ছাপানো হয়েছে। রাজধানীর মিরপুরে টাকা জাদুঘর থেকে নির্ধারিত মূল্যে এসব নোট সংগ্রহ করা যাবে।

৫০ টাকার নোটে কী থাকছে

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ৫০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ মিমি X ৬০ মিমি। নোটটি শতভাগ সুতি কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে থাকছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ। নোটটিতে থাকছে গাঢ় বাদামি রঙের আধিক্য।

ব্যাংক নোটটির সামনের বাঁ পাশে আহসান মঞ্জিলের ছবি। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা–কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি থাকছে। নোটের পেছনে জলছাপ এলাকার ডান পাশে থাকছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সংগ্রাম’–এর ছবি।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ৫০ টাকার নোটে মোট আট ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সামনে বাঁ পাশে ২ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করা হলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডান পাশে একধরনের প্যাটার্ন মুদ্রিত থাকবে—আলোর বিপরীতে ধরলে ‘৫০’ লেখা দৃশ্যমান হবে।

১০০০ টাকার নোটে কী থাকছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ মিমি x ৭০ মিমি। নোটটি ১০০ শতাংশ সুতি কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ থাকছে। নোটটিতে থাকছে বেগুনি রঙের আধিক্য।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নোটের সামনে বাঁ পাশে থাকছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সাভারের ছবি। নোটের মাঝখানের ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা–কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগে আছে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি।

নোটটিতে মোট ১৩ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সামনের বাঁ পাশে ৫ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ ও ‘১০০০ টাকা’ খচিত আছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ অংশের নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয় এবং ‘১০০০ টাকা’ অংশে উজ্জ্বল রংধনু বার ওপর থেকে নিচে ওঠানামা করে।

২০ টাকার নোটে কী থাকছে

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ২০ টাকার ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৭ মিমি x ৬০ মিমি। নোটটি শতভাগ সুতি কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে থাকছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ। নোটটিতে থাকছে সবুজ রঙের আধিক্য।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নোটটির সামনের বাঁ বাশে ঐতিহাসিক স্থাপনা কান্তজিউ মন্দিরের ছবি। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা–কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি থাকছে। নোটের পেছন ভাগে জলছাপ এলাকার ডান পাশে থাকছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ছবি।

নোটটিতে মোট পাঁচ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সামনে বাঁ পাশে ২ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করা হলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডান পাশে একধরনের প্যাটার্ন মুদ্রিত আছে—আলোর বিপরীতে ধরলে ‘২০’ লেখা দেখা যাবে।

বিষয়টি হলো, সব ধরনের টাকা ও ধাতব মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় গত এপ্রিলের শুরুতে হঠাৎ নতুন নোট বাজারে ছাড়া বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত নতুন নোট বাজারে আসেনি। এ পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোকে নতুন নোট দিতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ছেঁড়াফাটা ও পুরোনো ময়লা নোটে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ১ জুন থেকে বাজারে নতুন নোট এলে এই সংকট অনেকটা কাটবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

গভীর নিম্নচাপের আঘাত শুরু, ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা

0

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করা শুরু করেছে। এর প্রভাবে দেশের অন্তত ১৪ জেলার বিভিন্ন স্থানে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার কাছে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে। এরপর এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চর ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। তখন ঝোড়ো হাওয়াও থাকতে পারে।

উপকূলে আঘাত হানছে গভীর নিম্নচাপ, চার ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

0

ঢাকা: গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা ও চরাঞ্চলে চার ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপের কারণে কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশি এক লাখ শ্রমিক নিয়োগ দেবে জাপান

0

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ কর্মী নিয়োগের কথা জানিয়েছে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জাপানে বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।

তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ও প্রেরণার দিন। এটি শুধু কাজ করার জন্য নয়, বরং জাপানকে জানারও দ্বার উন্মোচন করবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য। ’

সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা দুটি সমঝোতা স্মারকের সাক্ষী হন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি একটি দ্বার উন্মোচনের প্রতীক। ’ তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ, যার অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ হলো তাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া। ’

শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক মিতসুরু মাতসুশিতা বলেন, ‘অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশিদের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি মেধাবীদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের প্রতিভা লালন করা আমাদের দায়িত্ব। ’

এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, ‘আমাদের ফেডারেশন তরুণ ও দক্ষ কর্মীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখছে। তারা উভয় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা এক লাখ বাংলাদেশি কর্মীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। ’

ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান, বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল প্রতি বছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়, এবং তারা এই সংখ্যা তিন হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীরা জাপানের চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। ’

জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিল্ড ওয়ার্কার কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের (জেইটিসিও) চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে।

জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএলডব্লিউ) প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা কমছে এবং সে কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন হবে। ’

তিনি বলেন, ‘এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জাপানের জন্যও একটি আশাব্যঞ্জক দিক হতে পারে। ’

স্বাগত বক্তব্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারে।