Sunday, June 1, 2025
Home Blog Page 2

পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে ৪ জুন

0

পবিত্র হজ্। এটি ইসলামের পঞ্চম ও সর্বশেষ স্তম্ভ। চলতি বছর পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ জুন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।

প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।

চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিন লাখো হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন ও নামাজ আদায় করেন। এ পবিত্র ময়দানেই সেই পাহাড় অবস্থিত, যেখান থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।

এ বছর আরাফাত ময়দানের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে ৫ জুন। আর দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে ৬ জুন।

গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে, জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত

0

সারাদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ। এর প্রভাবে আজ শুক্রবার (৩০ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ উপকূলের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন; বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে, পাহাড়ধসের শঙ্কায় পার্বত্যাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে বলেছে প্রশাসন।

দুই দিন ধরে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। দমকা হাওয়ায় বিপর্যস্ত উপকূলীয় জনপদের মানুষ। ঝড়ো হাওয়ায় বহু জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে।

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা জনপদ নোয়াখালী। জোয়ারের তোড়ে কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়ার তিনটি নদীতীরবর্তী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ও সড়ক হাটু পানির নিচে। চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এ অঞ্চলে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়া ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে, দুই দিনের ঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলের জনপদও বিপর্যস্ত হয়েছে। কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে বরগুনার উপকূলীয় এলাকা। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে মানিকখালি ও উত্তর ডালভাঙা এলাকার বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হয়েছে কয়েকশ পরিবার।

এদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল ভোলার নদীতীরবর্তী মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপকূলবাসী। ঝালকাঠিতেও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে; ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীপারের সড়ক।

এক স্থানীয় নারী বলেন, ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করছি। এখন আমাদের থাকা-খাওয়ার জায়গা নেই। আরেক ব্যক্তি জানান, গতকাল ২০০ থেকে ২৫০ মহিষ নদীতে ভেসে গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েকটি উদ্ধার করা গেলেও বাকিগুলোর খোঁজ নেই।

ঝড়ো হাওয়ায় উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। ঢেউয়ের তোড়ে পতেঙ্গায় আছড়ে পড়েছে দুটি জাহাজ। এদিকে, বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়াসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল।

বৈরী আবহাওয়ায় পাহাড়ের নীল আকাশও এখন কালো মেঘে ঢেকে গেছে। পাহাড়ধসের শঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পার্বত্যাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের কিছু কিছু জেলায় আরও একদিন বৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৯৬ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, “গতকাল বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি সমতল অতিক্রম করায় আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।”

শক্তিশালী সাইক্লোনের আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “সাগরে বায়ুতাড়িত বাতাস রয়েছে, যে কারণে প্রতিটি বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “দুই বিভাগ বাদে দেশের অন্যান্য কিছু অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।”

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৬ মি.মি.। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের মাইজদীকোর্ট এলাকায়— ২৮৫ মি.মি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চাঁদপুরে— ২৪১ মি.মি।

এছাড়াও, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও দেশের নানা স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

0

বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও দেশের বিভিন্ন স্থানের কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবার (৩০ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বৃষ্টির মাঝেই পশু পছন্দ করছেন ক্রেতারা।

এদিন দুপুরের পর থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হতে থাকে নওগাঁর চৌবাড়িয়া পশুর হাট। বিশাল আকৃতি ও বাহারি নামের পশুর প্রতি আকর্ষণ থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে ছোট ও মাঝারি গরু।

হাটে পর্যাপ্ত পশুর সরবরাহ থাকলেও কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশ খামারিরা। তবে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা তাদের।

রাজশাহীর তাহেরপুর হাটেও বেলা বাড়ার সাথেসাথে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের আনাগোনা। বিক্রেতারাদের হাঁকডাকে মুখর চারপাশ। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা নিয়ে শঙ্কায় তারা।

বিক্রেতারা বলছেন, এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি শুরু হয়নি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু হয়েছে। হাটগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট সহায়তা

0

বাজেট সহায়তা, রেলপথ উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী প্রতি ডলার ১২২.২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ হাজার ৯৯৫ কোটি ৫৮ লাখ ৭০০ টাকা।

শুক্রবার (৩০ মে) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া স্ট্যাটাসে একই তথ্য জানান।

দুইজনেরই স্ট্যাটাসে জানানো হয়, চুক্তি অনুযায়ী এই অর্থের মধ্যে জাপান ৪১ কোটি ৮ লাখ ডলার অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি করতে দেবে। এছাড়া জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথকে দ্বৈত গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করতে ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার খরচ করা হবে। বৃত্তি সহায়তা হিসেবে ৪২ লাখ ডলার অনুদান দেবে জাপান সরকার।

এই ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফরে আছেন।

৯ জুনের ফিরতি ট্রেনের টিকিট মিলছে এখন

0

ঈদুল আজহা শেষে ঘরমুখো মানুষের ফেরার সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করছে বাংলাদেশে রেলওয়ে। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (৩০ মে) বিক্রি করা হচ্ছে আগামী ৯ জুনের ট্রেনের টিকিট।

যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এদিন সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের পরের আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে আজ ৩০ মে; ১০ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৩১ মে; ১১ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ১ জুন; ১২ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ২ জুন; ১৩ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৩ জুন; ১৪ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৪ জুন এবং ১৫ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৫ জুন।

উল্লেখ্য, বরাবরের মতো এবারও আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হওয়ায় কোনো টিকিট রিফান্ড করার সুযোগ থাকছে না।

সাত দিনের অভিযানে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ৩৯০ জন

0

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তসহ ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, চোরাই মুঠোফোন, ওয়াকিটকি, পাসপোর্ট, জালনোট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্পাঞ্চলে সম্ভাব্য অস্থিরতা রোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়-সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুর হাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি ঈদযাত্রা সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

নিম্নচাপ স্থলে অবস্থান করছে, ৫টি বিভাগে হতে পারে ভারী বৃষ্টি

0

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখন স্থলভাগে উঠে এসেছে। ‌ পরিণত হয়েছে স্থল গভীর নিম্নচাপে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই এটি স্থলভাগে উঠে আসে। আর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। যদিও এর প্রভাব আজ শুক্রবার সারা দিন ধরেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,  এর প্রভাবে আজ দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল শনিবারও এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বেশ কিছু এলাকায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি গতকাল রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে ছিল। পরবর্তীতে এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে আজ ময়মনসিংহ ,খুলনা , বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ভারী বৃষ্টি বলতে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বোঝায় আর অতি ভারী বৃষ্টি হয় ৮৮ মিলিমিটারের ওপর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ সকাল সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি এখনো স্থল গভীর নিম্নচাপ রূপে আছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে  এগোচ্ছে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হবে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টি হচ্ছে ঝিরঝির করে। রাজধানীতেও আজ সারা দিন এভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।

এটিএম নাজমুল হক বলেন, আগামীকাল শনিবার রংপুর , রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের পরবর্তী সময়ে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টি হতে পারে।

গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরদিন বুধবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে  পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে প্রথমে নিম্নচাপ পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ১৬৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় অতি বর্ষণের কারণে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উঁচু জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলা-পটুয়াখালীসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।

ডিসেম্বরের নির্বাচনের পক্ষে শুধু একটি দল: প্রধান উপদেষ্টা

0

বাংলাদেশের সব দল নয়, মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের রাজধানী টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ফিউচার অব এশিয়া’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত এবং গণতন্ত্র মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন- এ তিনটি দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার পালন করবে এমনটা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কি-না, তা নির্ভর করছে সংস্কার কতটুকু সম্পন্ন হয়, এর ওপর। ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়া নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলই বলছে, কিন্তু সব দল নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে গেলে তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করতে হবে। ভালো করে সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরের পর আরও ৬ মাস প্রয়োজন। নির্বাচিত দলের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এ সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। 

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সবসময় নিশ্চিত থাকছে না। এশিয়া ও তার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং শান্তি দিন দিন অধরা হয়ে উঠছে। ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে। 

আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নির্মম রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এর গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

ড. ইউনুস বলেন, সম্প্রতি আমাদের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা কোটি কোটি টাকা যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করছি, অথচ লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে বা ন্যূনতম চাহিদার জন্য লড়াই করছে। এ সময় তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ বেড়ে যাওয়ায় মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার ভিত্তি চ্যালেঞ্জের মুখে এবং আর্থিক বৈষম্য সমাজে বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভাজনের কারণে অসন্তোষ ও অস্থিরতা দেখা গেছে, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ডেকে এনেছে। বহুমুখী অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে।

বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া অনিশ্চয়তার কেন্দ্রস্থলে, একই সঙ্গে সম্ভাবনারও কেন্দ্রে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, কিন্তু আমাদের সম্মিলিত শক্তিও বিশাল। এ বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সামনে একটি সুযোগ, এমনকি একটি দায়িত্ব রয়েছে ভিন্ন পথ দেখানোর : শান্তির, সংলাপের, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের। শুধু সংখ্যাগত নয়, মানুষের কল্যাণ, আস্থা ও আশার উন্নয়ন। 

তিনি আরও বলেন, এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতির বিষয় নয়, এটি মানুষের, ভাবনার এবং সাহসের বিষয়। ভয়ের দ্বারা নয়, সম্ভাবনার দ্বারা; শক্তির দ্বারা নয়, উদ্দেশ্যের দ্বারা পরিচালিত হই। চলুন, একটি উত্তম বিশ্বের কল্পনা করতে সাহসী হই। চলুন, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখি। চলুন, শুধু প্রয়োজনীয়তার কারণে নয়, বরং আন্তরিক ইচ্ছে থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি-আমরাই তা একসঙ্গে লিখব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপান একসঙ্গে কাজ করে এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্যও পুনর্লিখন করতে পারে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা কামনা দ্রৌপদী মুর্মুর

0

ঢাকা: গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভারতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এই প্রত্যাশা করেন।

নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

ভারতের রাষ্ট্রপতি মুর্মু রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের পুনর্ব্যক্ত করেন। ‌‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ কল্পনা করি,’ রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন,  ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রদত্ত অভিন্ন ত্যাগের ওপর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নিহিত। ভারতের রাষ্ট্রপতি অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং বর্ধিত সংযোগের জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেছেন। দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতির পদ গ্রহণের জন্য তিনি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারত্ব জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ উভয় দেশের যুবসমাজের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গত ১৪: এপ্রিল দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে   যোগ দিয়েছেন।

দিল্লিতে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে আঞ্চলিক সংস্থা ও বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিষয় দেখভাল করতেন তিনি।

অভিজ্ঞ কূটনীতিক রিয়াজ হামিদুল্লাহ নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বিসিএস ফরেন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা রিয়াজ হামিদুল্লাহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে বিভিন্ন উইংয়ে নিয়োজিত ছিলেন।  

এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘ ও নয়াদিল্লি মিশনেও বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।

এর আগে গত ১৫ মে রিয়াজ হামিদুল্লাহসহ ৫ দূতের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।

সৌদি আরবের লক্ষ্য এখন রোনালদোকে ধরে রাখা

0

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সৌদি আরবে ধরে রাখতে তাঁর সঙ্গে ‘কঠিন’ এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির অফিশিয়ালরা। সহজ কথায় আলোচনাটি স্বস্তিদায়ক হচ্ছে না কিংবা ফলপ্রসূ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ বিষয়ে জানেন, এমন এক সূত্র খবরটি জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে।

গত মঙ্গলবার আল নাসর সৌদি প্রো লিগের মৌসুম শেষ করার পর ক্লাবটি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন রোনালদো। আল ফাতেহর কাছে ৩-২ গোলে হেরে তৃতীয় হয়ে লিগ শেষ করে আল নাসর। রোনালদোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডলে এরপর লেখা হয়,‘এই অধ্যায় শেষ। গল্পটা? এখনো লেখা হচ্ছে। সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’  আল নাসরের সঙ্গে রোনালদোর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। ৪০ বছর বয়সী পর্তুগিজ কিংবদন্তি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ২০২২ সালে আল নাসরে যোগ দেন। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রোনালদোর খেলার গুঞ্জন চলছে।

রোনালদোর ক্লাব আল নাসর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অনেকের ধারণা, ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতেই আল নাসর ছাড়তে চান রোনালদো। এ নিয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কিছুদিন আগে বলেছেন, রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে ‘আলোচনা চলছে’।

সৌদি আরব থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে শুধু আল হিলাল। এএফপিকে সূত্র জানিয়েছে, দলবদলের মাধ্যমে আল নাসর থেকে রোনালদোকে আল হিলালে পাঠানো হতে পারে। সৌদি আরবের সরকারি বিনিয়োগ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) দেশটির ফুটবলে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। পিআইএফের সেই সূত্র বলেছেন, সৌদি প্রো লিগের আগামী মৌসুমে ‘থাকার জন্য রোনালদোকে রাজি করাতে তাঁর সঙ্গে কঠিন এক আলোচনা চলছে।’

রোনালদোর বিষয়ে আল নাসরের অবস্থান আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ক্লাবটির পরিচালক ফার্নান্দো হিয়েরো, ‘আমরা তার চুক্তি নবায়নের চেষ্টা করব, যেন সে আমাদের সঙ্গে চালিয়ে যেতে পারে। তাকে সই করাতে অনেক ক্লাবই আগ্রহী। চুক্তি নবায়ন করতে আমরা রোনালদোর সঙ্গে আলোচনা করছি। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমরা সমাধান খুঁজে বের করতে পারব।’

রোনালদোকে নিয়ে এএফপিকে সেই সূত্র আরও বলেছেন, ‘প্রথম পথটা হলো আল আহলিতে যোগদান, যেখানে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকবে। কিংবা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন আল আহলিতে যোগদান।’

তেলসমৃদ্ধ সৌদির সরকারি স্বাধীন বিনিয়োগ তহবিল পিআইএফ প্রো লিগে আল নাসর, আল হিলাল ও আল আহলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

খেলোয়াড় সই করাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দলকে ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দলবদলের বিশেষ সময় দেবে ফিফা। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপ।

রোনালদোর সৌদি প্রো লিগে যোগদান দেশটির ঘরোয়া ফুটবলে কত প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন সেই সূত্র, ‘গত আড়াই বছরে সৌদি প্রো লিগের উন্নতিতে অন্যতম বড় ভূমিকা রোনালদোর উপস্থিতি। অভিজাত ও তরুণ খেলোয়াড়দের সৌদি আরবে আসার দ্বার খুলেছেন তিনি।’

আল নাসর এবার লিগে তৃতীয় হলেও ৩০ ম্যাচে ২৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রোনালদো। গত মাসে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া আল নাসরের হয়ে সৌদি লিগ কিংবা মহাদেশীয় ট্রফি জিততে পারেননি।

পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী ৪০ বছর বয়সী রোনালদো গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি আল নাসরেই ক্যারিয়ার শেষ করতে পারেন। সৌদি রাজপরিবারের অনেকেরই পছন্দের ক্লাব আল নাসর। প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে ইউরোপের বেশ কিছু বড় তারকাকে নিজেদের ঘরোয়া ফুটবলে নিয়ে এসেছে সৌদি আরব। ২০৩৪ বিশ্বকাপও আয়োজন করবে দেশটি।