আর্থিক খাতের গলার কাঁটা খেলাপি ঋণ। এটা কমাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। স্বৈরসরকারের পতনের এক মাস আগের হিসাব বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী থেকে এতথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য মতে, চলতি বছরের (২০২৪) জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। গত বছরের (২০২৩) জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে জুন শেষে ব্যাংক খাতের বিতরণে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যেও খেলাপি ঋণ দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ খেলাপি ঋণ। তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক খাতের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের বিতরণ করা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ খেলাপি। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর গত জুন পর্যন্ত সময়ে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাাঁড়ায় এক লাখ দুই হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আলোচিত সময় বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাাঁড়ায় ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ সাত দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর আলোচিত সময় বিতরণ করা ঋণের পরিমান দাঁড়ায় তিন হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋন চার দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন: আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সব ধরনের নির্যাতনের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে জামায়াত ইসলামী।
মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, সাধারণ মানুষ যদি সঠিক বিচার চায়, তবে তাদের আইনী সহায়তা করা হবে। আমরা ধ্বংস চাই না, সংশোধন চাই। এমন সমাজ চাই, যাতে সবার অবদান থাকবে।
তিনি বলেন, এতদিন সাংবাদিকদের হাতে তালা ঝুলানো ছিল, এখন তা মুক্ত। এখন সাংবাদিকরা খোলা মনে কাজ করবে, কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
রাওয়ালপিন্ডিতে জয়ের চিত্রটা চতুর্থ দিনই এঁকে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানারা। পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে লক্ষ্যটা বেঁধে দিয়েছিলেন দুইশর নিচে! অপেক্ষা ছিল শেষ দিনের। পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ধরা দিল সেই অধরা স্বপ্ন। পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবাল বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে চতুর্থ ইনিংসে এই রান তোলা কঠিন হলেও বাংলাদেশ সেটা পেরেছে সহজভাবে। কারণ, এর আগেও ছিল এমন অতীত অভিজ্ঞতা। যা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পাকিস্তানে জয়ের নতুন গল্প লিখল বাংলাদেশ।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিতেই পাকিস্তানকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। নিজেদের ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েকেই কেবল হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো পাকিস্তানের নাম। তা ছাড়া পাকিস্তানের ঘরের মাঠে কেবল ইংল্যান্ডই পেরেছিল তাদের হোয়াইটওয়াশ করতে। ইংলিশদের পর এবার বাংলাদেশের কাছে একই লজ্জা পেলেন বাবর আজমরা।
শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৪৩ রান। দিনের প্রথম সেশনে ৮০ রান যোগ করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনেই পৌঁছে যায় কাঙ্খিত লক্ষ্যে।
গতকাল চতুর্থ দিনের শেষ সেশন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পঞ্চম দিন অবশ্য তা হয়নি। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঝলমলে আবাহওয়ার দিনে শুরুটা ভালোর আভাস দেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। জুটিটা থিতু হতে দেননি মির হামজা। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান যোগ করতেই ভাঙেন এই জুটি। জাকিরকে বোল্ড করে ৪০ রানে থামান হামজা। ৫৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর ৩৯ বলে তিন বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায় সাজানো ছিল জাকিরের ইনিংস।
জাকির ফেরার কিছুক্ষণ পরে থামেন সাদমান। খুরাম শেহজাদের করা হাফভলিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মিড অনে ক্যাচ লুফে নিয়ে ২৪ রানে তাকে সাজঘরে পাঠান শান মাসুদ।
৭০ রানে জোড়া উইকেট হারানোর পর রান তোলায় আর তাড়াহুড়ো করেনি বাংলাদেশ। উইকেটে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। দুজনেই পাকিস্তানি ব্যাটারদের খেলেন দেখেশুনে। উইকেটে নির্ভার থাকা এই জুটিতে ভর করেই প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
এই সেশনে ২৭ ওভারে দলীয় স্কোরটা ১২২ রানে নিয়ে যান শান্ত ও মুমিনুল। মধ্যাহ্ন বিরতির পর খেই হারান শান্ত। সালমান আলি আঘার সাদামাটা এক ডেলিভারিতে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫ চারে ৮২ বলে ৩৮ রান করে থামে তার ইনিংস। ৫৭ রানে ভাঙে তৃতীয় উইকেট জুটি। অধিনায়কের বিদায়ের পর টিকলেন না মুমিনুলও। ৭১ বলে ৩৪ রান করে আবরারের বলে থামেন তিনি। দুই সেট ব্যাটার ফিরলে মুশফিককে সঙ্গে করে বাকি পথ পাড়ি দেন সাকিব আল হাসান। শেষ দিকে নেমে সাকিব করেন ২১ রান। তার সঙ্গে থাকা মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
এর আগে এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭৪ রান করে পাকিস্তান। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের সেঞ্চুরি আর মেহেদী মিরাজের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। ১২ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে পাকিস্তান করে ১৭২ রান। হাসানের ফাইফার আর নাহিদ রানার গতির ঝলকে বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি শান মাসুদের দল। যার জবাব দিতে নেমে পঞ্চম দিনের দুই সেশনেই বাজিমাত বাংলাদেশের। জিতে নেয় পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম সিরিজ।
সোমবার (২রা সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা নদীর চরখানপুরে প্রথমে রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাজারদিয়াড় গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রাজু (২২), খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে (৩৮) পাওয়া যায়। পরে রাত ১১টার দিকে এন্তাজুলের ছেলে সবুজ (২১) ও কালামের ছেলে ফারুকের (১৮) মরদেহ পাওয়া যায়।
সকালে নিখোঁজ সবুজের বোনের স্বামী মেজারুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌকা নিয়ে টহল দিয়েছি। রবিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চলে গেছে। তারা পায়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজু ও মোহাম্মদ আলীর মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে ফারুক ও সবুজের মরদেহ পানিতে ভেসে ওঠে। আমরা তাদের মরদেহ বাড়িতে রেখেছি।
মঙ্গলবার (৩রা সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চর মাজারদিয়াড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পবা উপজেলার ৪নং হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির বলেন, রাতে তাদের মরদেহগুলো পানিতে ভেসে উঠে। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে বাড়িতে রাখে। চর মাজারদিয়াড়ে পাশাপাশি চারটি কবর করা হয়েছে। সেখানে সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান। সোমবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে জামায়াতের আমির বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চীনকে জামায়াতের নেতারা জানিয়েছেন এবং দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহায়তার অনুরোধ করেছেন।
এদিকে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে কীভাবে পরিস্থিতির উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি চীন। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। ভবিষ্যতে দুপক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে বলেও জানান তারা।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন প্রভাবক ভূমিকা পালন করে। আমরা আশা করি, চীন ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। আমরা আশা করি তারা ভূমিকা পালন করলে রোহিঙ্গা বিষয়টির সমাধান সহজ হবে।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিব শফিউল আজমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে পেয়েছে ট্রাক প্রতীক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান কার্যালয় আল রাজী কমপ্লেক্স (৩য় তলা), বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ এ অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদকে (জিওপি) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ওই দলের জন্য ট্রাক প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। দলটির নিবন্ধন নম্বর-০৫১।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট শাখার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংসদ ভেঙে দেন। তার তিন দিন পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্পিকার নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এর পর থেকে টানা তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবার স্পিকার নির্বাচিত করা হয়।
সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদে শিরীন শারমিন চৌধুরী রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন (৩৮) নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৭ আগস্ট শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।
চলতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪৪ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৭৭ টাকা থেকে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন; যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে ভোক্তা পর্যায়ে আগস্ট মাসের জন্য ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে এ দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
টেস্ট ক্যারিয়ারের অন্যতম দুর্দান্ত এক ইনিংস খেললেন লিটন কুমার দাস। সাদা পোশাকে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। যাতে ভর দিয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশ পার করে স্মরণীয় এক দিন।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ ২৬ রানে ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন লিটন। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। তাতে বাংলাদেশ পায় ২৬২ রানের সংগ্রহ। দিনের শুরুতে যাদের চোখ রাঙাচ্ছিল ফলোঅন, তারাই শেষ বিকেলে সুবিধাজনক স্থানে।
দুর্দান্ত এই ইনিংস ও বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে মিরাজের অবদান বেশি বলে মনে করেন লিটন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মূলত মিরাজের ব্যাটিংয়ে বদলে গেছে সব। দল ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস।
লিটন বলেন, ‘যখন আমাদের ছয় উইকেট পড়ে যায়, সে সময়টায় পাকিস্তান দারুণ বল করছিল। ওদের খেলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তখন মিরাজকে বলছিলাম, দেখেশুনে খেলতে হবে। আমি লম্বা কোনো পরিকল্পনা করে এগোইনি। তবে, পাকিস্তানি বোলারদের মিরাজ কয়েকটি বাউন্ডারি মারে। তার সেসব চার বেশ দ্রুত এসেছিল। তখনই আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে।’
শেখ পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’ অনুযায়ী সুবিধাভোগী সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার এক আদেশে এ নির্দেশনা দেন আদালত। একইসঙ্গে তারা কি কি সুবিধা ভোগ করেছেন এবং কি কি সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী এক মাসের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাদের জন্য বরাদ্দ সুবিধা এবং সম্পত্তি কেন পুনরুদ্ধার করা হবে, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুল জারি করেন।
শেখ পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন–২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১–এর কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইসআরএসএস) সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, শেখ পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১ এর ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) ও ৯(২) ধারার মাধ্যমে জন্মসূত্রে শেখ পরিবারের সদস্যদের বিশেষ শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আইনে শেখ পরিবার-সদস্য অর্থ জাতির পিতার জীবিত দুই মেয়ে এবং তাদের সন্তানাদি বলে উল্লেখ করা হয়েছে; যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানান, শেখ পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) এবং ৯(২); যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ লেখা আছে, সেগুলো অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণার প্রার্থনা জানানো হয়েছে রিটে। আইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তারা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন, তা পুনরুদ্ধার করার আবেদনও রয়েছে।
এছাড়া অতি দ্রুত আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে ‘শেখ পরিবার-সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান’ বন্ধ করার প্রার্থনাও করা হয়।
রিট আবেদনকারী জানান, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শেখ পরিবার-সদস্যরা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন, সে জন্য রাষ্ট্রের খরচ নিরূপণ এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় তারা পেয়েছেন, এর একটা প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিল করার প্রার্থনাও জানানো হয়েছে।
রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিককে বিবাদী করা হয়েছে।