Wednesday, September 10, 2025
Home Blog Page 10

এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে: নাহিদ ইসলাম

0

গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিকে সব ধরনের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌমভাবে পরিচালনা করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে বারবার বিভাজিত করা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা হয়েছে, বাংলাদেশেকে দুর্বল করে রাখার লক্ষ্যে।’

নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে আবারও দিল্লি থেকে ছক আঁকা হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার, দেশকে বিভাজিত করার। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে।’

এই পরিস্থিতিতে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশপন্থী ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতাকে সার্বভৌমত্ব, সংস্কার ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার ও সৈনিকদের সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশ রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি প্রত্যাশা জানিয়ে নাহিদ বলেছেন, ‘ড. ইউনূসকে জনগণকে দেওয়া সংস্কার, বিচার ও ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। ওনাকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

ফেসবুক পোস্টে নিজেদের দাবিগুলোও তুলে ধরেছেন নাহিদ ইসলাম। দাবিগুলো হলো, জুলাই ঘোষণাপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দিতে হবে, ঘোষিত টাইম ফ্রেমের (সময়সীমা) মধ্যেই নির্বাচন হবে, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের জুলাই সনদ রচিত হবে, নির্বাচনের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হবে ও বিচারের রোডম্যাপ (রূপরেখা) আসতে হবে এবং নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন একই সঙ্গে দিতে হবে।

বিএনপির প্রতি সারজিসের আহ্বান

0

নির্বাচনের রোডম্যাপের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের রোডম্যাপ চাওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। 

শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি। 

ওই পোস্টে সারজিস লিখেন, আজকে বিএনপির সালাহউদ্দিন ভাই বলেছেন চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া। এই মুহূর্তে বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। সেই হিসেবে তাদের কাছে আমাদের এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের দায়বদ্ধতাও সবচেয়ে বেশি।

তিনি লিখেন, সমাধানের একমাত্র পথ হিসেবে যখন নির্বাচনী রোডম্যাপের কথা বলা হয় তখন জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করা সাধারণ জনগণ আশাহত হয়, শহিদ পরিবারের সদস্যরা আশাহত হয়, আহত যোদ্ধারা আশাহত হয়। কোটি মানুষ যে আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে পাঁচ আগস্টে জীবনের মায়া না করে রাজপথে নেমে এসেছিল, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।

এনসিপির এ নেতা লিখেন, সালাহউদ্দিন ভাইসহ বিএনপির কাছে আহ্বান থাকবে, নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার পাশাপাশি গণহত্যার বিচারের রোডম্যাপ চান, দেশের মৌলিক সংস্কারের রোডম্যাপ চান, জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার বিচারের রোডম্যাপ চান। 

সারজিস আরও লিখেন, এতো বড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির মত বড় দল সবকিছু বাদ দিয়ে খালি নির্বাচন নিয়ে কথা বললে আমরা আশাহত হই, বাংলাদেশ আশাহত হয়।

এদিক-সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই, জুনের মধ্যে নির্বাচন : রিজওয়ানা

0

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, গতকাল আমাদের মিটিংয়ের পরে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। আসলে মোটাদাগে আমাদের তিনটা দায়িত্ব এবং তিনটাই কঠিন কঠিন দায়িত্ব— বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য তো আমরা দায়িত্ব নিইনি। আরও দুইটা দায়িত্ব আছে, আমরা সেগুলো আসলে পালন করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত রকম দাবি আছে সব নিয়ে তারা রাস্তায় বসে যাচ্ছে, রাস্তা আটকে দিচ্ছে। একদম ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়ছে। সেই অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা— এগুলো আলোচনা করে আমরা চিন্তা করলাম, আমাদের এই দায়িত্বটা কিন্তু জাতীয় দায়িত্ব। আমরা তো আগে থেকেই বলছি, আমরা ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্বে আছি। এই দায়িত্বটা পালন করা তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা সকলের সহযোগিতা পাব।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই যে প্রতিবন্ধকতাগুলো হচ্ছে, বড় দাগে তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য, এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, আদৌ মোকাবিলা করতে পারব কিনা। যদি মোকাবিলা করতে পারি কীভাবে করব, যদি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে— আমরা সকলে মিলে এটা চিন্তা করছি।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন কোনো ব্যাপারে, আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি যে উনি একটা সময় দিয়েছেন। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত ছিল না।

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। ওনার যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি— ওটা আপনারা উনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।

পদত্যাগ করবেন না ড. ইউনূস

0

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ শুক্রবার (২৩মে) নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে। তিনি লিখেন, বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও লিখেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লিখেন, পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেন, সব দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তিনি আরও লিখেন, জুলাই-আগস্ট’২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদ্‌যাপন করব, ইনশাল্লাহ এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না।

এর আগে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন, এমন খবর পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’ প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না, এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।

অধ্যাপক ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম

0

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ।

পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের (অধ্যাপক ইউনূস) তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজ সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ’

প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক।

তিনি বলেন, ‘স্যার বলছেন, আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণ অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমি তো এভাবে কাজ করতে পারব না। ’ 

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন গঠিত দলটির নেতা নাহিদ ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টাকে নাহিদ বলেছেন, আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে তিনি যেন শক্ত থাকেন। সব দলকে নিয়ে যেন ঐক্যের জায়গায় থাকেন। সবাই তার সঙ্গে আশা করি কো-অপারেট করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। ’ 

এই আলোচনার পরে প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জানিয়েছেন, ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’ তিনি।

‘তিনি বলছেন এ বিষয়ে ভাবতেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না। ’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়…. সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পেলে তিনি থাকবেন কেন?’

সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ

0

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনানিবাসে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণী-পেশার মোট ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।এই বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে ৫৭৮ জনের একটি তালিকা দিয়েছে আইএসপিআর।

তালিকা দেখতে ক্লিক করুন 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে গত ১৮ আগস্ট আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ছাড়া) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়।

সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এই ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল বলেও এতে।

তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

এ পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্যসহ) প্রকাশ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আইএসপিআর।

জুতা নিয়ে দুই শিশুর ঝগড়া থেকে বড়দের মারামারি, প্রাণ গেল বৃদ্ধের

0

এক শিশুর জুতা হারানোর ঘটনা নিয়ে দুই পরিবারের দুই শিশুর ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া থেকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পরিবারের সদস্যরা। এতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের হাজীনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহিদ আলী (৭৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, পাশের বাড়ির কনা মিয়ার পরিবারের এক শিশু তার জুতা খুঁজে না পেয়ে ওয়াহিদ আলীর পরিবারের এক শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। শিশুদের মধ্যে শুরু হওয়া কথা–কাটাকাটি থেকে বিষয়টি দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনায় রূপ নেয়। রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের (সুলফি) আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান ওয়াহিদ আলী। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর কনা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।

গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, তুচ্ছ একটি বিষয় থেকে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল। একজন মারা গেছেন, কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এক শিশুর জুতা হারানো নিয়ে শুরু হওয়া কথা–কাটাকাটির জেরে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত ওয়াহিদ আলী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পরের আত্মীয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সরকারের ওপর চাপ বাড়াল বিএনপি

0

রাজপথে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী–সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের সামর্থ্য দেখাতে পেরেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা গেছে।

এ ছাড়া উচ্চ আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথের বাধা কেটেছে—এটিকেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। এখন দলটির চূড়ান্ত লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়। এ জন্য আগামী জুন মাসে পবিত্র ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি।

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সময় চাওয়া হয়। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি। এরপর বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের অব্যাহতি দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অব্যাহতির দাবি তুলেছে দলটি।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ধরে রাখা ‘কঠিন হবে’ বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছে বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, দলটির নীতিনির্ধারকেরা সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে হবে। এটিই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে। এর অন্যথা হলে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

পাবনা হেমায়েতপুর ইউনিয়ন এর জালাল হত্যা মামলার আসামী ঢাকা হতে গ্রেফতার

0

পাবনা হেমায়েতপুর ইউনিয়ন এর বেতেপারা নিবাসী মোঃ জালাল হত্যা মামলার আসামী আতিয়ার রহমান খান ও ইজ্জত আলী ঢাকা হতে গ্রেফতার হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা এখন পাবনা সদর থানার হেফাজতে রয়েছে।

বিস্তারিত আসছে…

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবদল নেতা মিরাজ এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ

0
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিষয়টি সাম্প্রতিক কালে পাবনা সদর উপজেলাতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং অপবাদ নতুন কিছুনয়, তবে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ এর ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশী গুরুত্ব পাচ্ছে , কারণ তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহিন বলে জানা গেছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় শালগাড়িয়া সদর হাসপাতাল এলাকার একটি বিশেষ সুবিধাভোগী মহল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পাবনা সদর থানার সদস্য সচিব মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন কিন্তু এই খবর সত্যতা না জেনে, পাবনার আঞ্চলিক কিছু দৈনিক মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করেন, যা তার ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ পাবনা পৌরসভার শালগাড়িয়া, টিবি হাসপাতাল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল পাবনা সদর থানার সদস্য সচিব। তিনি পাবনা সদর উপজেলার সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা, তিনি দলের প্রয়োজনে বারবার কারাবরণ করেছেন, তিনি দলের দুর্দিনে শক্ত হাতে সংগ্রাম করেছেন এবং তৃণমূল কর্মীদের সর্বাত্মক সহোযোগিতা করেছেন।

স্থানীয় জনগন বলেন, মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল এর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সব সময় জনগণের পক্ষে কাজ করে এসেছেন কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এই অভিযোগগুলো মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে এসেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদাবাজি অভিযোগ থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

পাবনা পৌরসভার শালগাড়িয়া, টিবি হাসপাতাল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আরজু ইসলাম (৫০) বলেন, এ ধরনের অপবাদ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। কারণ মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ একজন সম্ভান্ত পরিবারের ছেলে, আমরা তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আগে কখনো শুনি নাই তিনি একটি সুবিধাভোগী মহলের বিশেষ ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা তার মিথ্যা অপপ্রচারের বিরদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি বিশেষ সুবিধাবাদী মহলের কাজ এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার নেতাকর্মীরা এই অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত তবে এর কোন সত্যতা পাইনি, তিনি জাতীয়তাবাদের একজন আদর্শ সৈনিক এবং সৎ ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতা, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ এই অপবাদকে দৃঢ়তার সহিত মোকাবিলা করেছে এবং তার প্রতি নেতাকর্মীদের আস্থা ও সমর্থন বজায় রয়েছে। আমি তার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিজস্ব প্রতিবেদক | পাবনা টুডে ডট কম