আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫৬ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ৮.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হলো প্রোটিয়াদের। এবারের আসরে খেলা আট ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ৫ রানের মাথায় ফজল হক ফারুকীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। ৮ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর এইডেন মার্করামকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন রেজা হেনরিকস। এই দুইজনের ব্যাটে ৬৭ বল হাতে রেখে সহজেই জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানরা। প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মার্কো ইয়ানসেন। প্রথম ওভারের শেষ বলে তার করা ফুল লেংথ ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভের চেষ্টা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে, সফল হতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। খুলতে পারেননি রানের খাতাই।
এরপর ক্রিজে এসেও থিতু হতে পারেননি আরেক ব্যাটার গুলবাদিন নাইব। তাকে ফিরিয়ে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন ইয়ানসেন। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্প লাইনে পিচ করে হালকা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে পরাস্ত নাইব বোল্ড হয়ে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। ৮ বল ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই সাফল্য পান তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি। এরপর চাপ সামাল দেওয়ার দায়িত্বটা পরে মোহাম্মদ নবীর ওপর। তবে, তিনিও থিতু হতে পারেননি। রাবাদার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারির কোনো জবাবই দিতে পারলেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। স্টাম্প উড়িয়ে নিজের প্রথম ওভারে জোড়া সাফল্যের আনন্দে মাতলেন রাবাদা। সবমিলিয়ে মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। মাঝে আরও দুই উইকেট হারায় আফগানরা।
ত্রিশের আগে ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার অভিযানে কিছুটা পথ এগিয়েছিলেন রশিদ খান ও কারিম জানাত। তবে তাদের বেশি দূর যেতে দেননি তাবরিজ শামসি। দশম ওভারে আক্রমণে এসেই ২২ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার। এক বল পর নুর আহমেদকে ফেরান শামসি। ৫০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে আফগানিস্তান। এরপর শামসির ফুল লেংথে করা টার্নিং ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি জানাত। জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। দ্রুত রিভিউ নেন আফগান অলরাউন্ডার। রিপ্লেতে দেখা যায়, ‘উইকেট’র বেলায় এসেছে আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ আম্পায়ার নট আউট দিলে হয়তো বেঁচে যেতেন ১৩ বলে ৮ রান করা জানাত।
আগের ওভারেই আনরিক নরকিয়ার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল রশিদ খানের। নতুন ওভারে বোলিংয়ে এসে দারুণ ডেলিভারিতে রশিদকে বোল্ড করে যেন ব্যক্তিগত লড়াইটি শেষ করলেন নরকিয়া। ২ চারে ৮ বলে ৮ রান করে ফেরেন রশিদ। ৫০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ৫৬ রানে থামে দলটি।