জাতিসংঘে আয়োজিত হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠান বর্জন করবে যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
দায়িত্বরত অবস্থায় কোনো রাষ্ট্রপ্রধান মারা গেলে ঐতিহ্যগতভাবে ১৯৩ সদস্যসের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিলিত হয়। এ শ্রদ্ধাঞ্জলিতে রাইসিকে নিয়ে বক্তৃতা দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবো না।”
এই শ্রদ্ধাঞ্জলি যুক্তরাষ্ট্র যে বর্জন করবে তা নিয়ে আগে কোনো খবর হয়নি। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশনও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
১৯ মে ইরানের উত্তরাঞ্চলে আজারবাইজান সীমান্তের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হন। কট্টরপন্থি রাইসিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, “ইরানি জনগণের নিপীড়কের স্মৃতিচারণ না করে জাতিসংঘের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। রাইসি ১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজবন্দিকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাসহ বহু ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। রেকর্ডের কিছু মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, বিশেষ করে নারী ও বালিকাদের বিরুদ্ধে, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালেই ঘটেছে।”
এর আগে ২০ মে অন্য একটি বৈঠকের আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল রাইসির মৃত্যুতে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল। তখন জাতিসংঘে মার্কিন মিশনের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বাকি ১৪টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনিচ্ছার সঙ্গে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেছিলেন।
২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাইসির মৃত্যুতে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে শোক’ প্রকাশ করেছিল।