জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মধ্যরাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ইমামকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে একটি অংশ নারীদের জন্য আলাদা করা। ছাত্রীরা সেখানে নামাজ পড়েন। সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সেই ছাত্রী।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ছালাহ্ উদ্দীন বলেন, “আমি ওই ছাত্রীকে চিনতামও না। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন জেনে আমি সাথে সাথে প্রক্টরকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমার মনে কোনো খারাপ চিন্তা থাকলে মেয়েটিকে দেখতে পেয়েই আমি প্রশাসনকে অবগত করতাম না। এখন তারা দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমাকে অপসারণ করেছে।”
এর আগে মসজিদের পাশে বহু বছরের পুরনো একটি বড় কাঠলিচু গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল ছালাহ্ উদ্দীনের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে গাছটি কাটেন তিনি।
লিচু পাড়ার জন্য বাচ্চারা ঢিল দেওয়ায় এবং তাতে মসজিদের টিনে শব্দ হওয়ায় তিনি গাছ কাটেন বলে দাবি করেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ট্রেজারারের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।