আর্থিক খাতের গলার কাঁটা খেলাপি ঋণ। এটা কমাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। স্বৈরসরকারের পতনের এক মাস আগের হিসাব বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী থেকে এতথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য মতে, চলতি বছরের (২০২৪) জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। গত বছরের (২০২৩) জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে জুন শেষে ব্যাংক খাতের বিতরণে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যেও খেলাপি ঋণ দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ খেলাপি ঋণ। তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক খাতের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের বিতরণ করা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ খেলাপি। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর গত জুন পর্যন্ত সময়ে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাাঁড়ায় এক লাখ দুই হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আলোচিত সময় বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাাঁড়ায় ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ সাত দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর আলোচিত সময় বিতরণ করা ঋণের পরিমান দাঁড়ায় তিন হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋন চার দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।