Sunday, June 1, 2025
Homeরাজনীতিচট্টগ্রামের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারায় সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বহিষ্কার করেছে জামায়াত

চট্টগ্রামের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারায় সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বহিষ্কার করেছে জামায়াত

চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারার ঘটনায় আকাশ চৌধুরী নামে একজনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার রাতে দলের চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে তাঁকে জামায়াতের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৮ মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত দুটি সংগঠনের কর্মসূচিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঘৃণ্য দৃশ্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কোনো ব্যাখ্যা ব্যতীত আমরা এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেদিন প্রেস ক্লাবে আয়োজিত দুটি সংগঠনের কর্মসূচি সম্বন্ধে আমরা পূর্ব থেকে ওয়াকিবহাল ছিলাম না, তাই আমাদের কোনো পর্যায়ের জনশক্তিকে সেখানে যাওয়ার নির্দেশনার প্রশ্নই ওঠে না। সেদিনের সংঘটিত ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই এই ঘটনার কোনো দায়দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী বহন করবে না।’

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সেদিনের অনভিপ্রেত ঘটনার দায় কেবলমাত্র সেখানে উপস্থিত দায়ী ব্যক্তিদের ওপরই বর্তায়। বিশেষ করে আকাশ চৌধুরী নামে সংগঠনের একজন কর্মী ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি ব্যতিরেকে উপস্থিত হয়ে উক্ত কর্মসূচিতে যে কাজ করেছে, তা চরম নিন্দনীয়। একটি সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী পরিচিত। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামী দিন–রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, কোনোভাবেই আমরা এ ধরনের কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়ার পক্ষপাতী নই।’

এর আগে গত বুধবার চট্টগ্রামে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের জামালখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হন।

এদিন সন্ধ্যায় একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর প্রেসক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা। সেখানে একজন পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতা-কর্মীদের পেছনে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন।

লাথি মারতে যে ব্যক্তিকে দেখা গেছে, তিনি ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী বলে জানিয়েছেন ছাত্র জোটের নেতা–কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। তিনি ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে ছাত্রশিবির বলছে, তিনি শিবিরের দায়িত্বশীল কোনো পদে নেই। শিবিরের কেউ এ কাজে জড়িত নন।

এর আগেও নগরের মুরাদপুরে সুন্নিদের জমায়েতে আকাশ চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছিল। আকাশ চৌধুরীর বহিষ্কারের বিষয়ের জামায়াতে ইসলামীর একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments