তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার হাতিরঝিল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন সুব্রত বাইনের সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরিফ। এই সন্ত্রাসীরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতের বলে জানিয়েছে অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে আজ সকাল ৫টার পর কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত এবং শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ ‘সেভেন স্টার’ সন্ত্রাসী দলের নেতা এবং তালিকাভুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
আইএসপিআরের পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান দলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও নাশকতা ছাড়াই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। সফল এই অভিযান বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইনফরমেশন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
লে. কর্নেল সামি উদ দৌলা বলেন, সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।