Friday, June 13, 2025
Homeরাইদা বাস কেনাবেচার লেনদেন নিয়ে বিরোধ, খুন হন আনোয়ার: পুলিশ

রাইদা বাস কেনাবেচার লেনদেন নিয়ে বিরোধ, খুন হন আনোয়ার: পুলিশ

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার হত্যার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও মো. শাকিল (১৮)। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পুলিশ  এর আগে রোববার (২৫ মে) আশুলিয়া ও দিয়াবাড়ি এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে,  রাইদা বাস ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কয়েকজন সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ার হোসেন সিকদারকে রাইদা বাস ডিপোর ভিতরে হত্যা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিসি (উত্তরা বিভাগ) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্ত্বর এলাকায় অবস্থিত রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার (৫৩) গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে রাইদা ডিপোর উদ্দেশে বের হন। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাকে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৮ জানুয়ারি তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার। 

তিনি আরও জানান, জিডির প্রাথমিক তদন্তকালে তথ্য পাওয়া যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাব্য হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। অতঃপর রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কালাম ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তুরাগ থানা পুলিশ দিয়াবাড়ী মেট্রো গোলচত্ত্বরের ডেসকো অফিসের পূর্ব পাশে রাইদা ডিপোর ভিতরের উত্তর পাশের টিনের বেড়া সংলগ্ন মাটির নিচ থেকে আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আনোয়ারের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতরাসহ আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় রোববার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

ডিসি মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা সবাই রাইদা বাসের চালক। গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে রাইদা বাস ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা ও তাদের কয়েকজন সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ার হোসেন সিকদারকে রাইদা বাস ডিপোর ভিতরে হত্যা করেন। তারা প্রথমে ভিকটিমের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে গলায় ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর তারা লাশ গুম ও প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশে নিহত আনোয়ারের মৃতদেহ বাস ডিপোর উত্তর পাশে টিনের বেড়ার কাছে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments