ঢাকা মেডেকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শাটডাউন ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের দুটি দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে ঢামেকের চিকিৎসকরা জানান, কর্তৃপক্ষ এ দুটি দাবিই মানতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই কর্মসূচি নিয়ে দুপুর ২টার পর ব্রিফ করা হবে বলে জানান তারা।
এর আগে গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মধ্যরাতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বিইউবিটির শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। চিকিৎসকদের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে এসে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করেন ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় তিন চিকিৎসক আহত হন।
এদিকে, সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলায় একজন মারা যান। এ ঘটনায় চাপাতিসহ চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
অপরদিকে, রাতে বিষপান করে হাসপাতালে এক রোগী ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা এক চিকিৎসকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পর রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই হাসপাতালটির চিকিৎসকরা আজ রোববার সকাল থেকেই অঘোষিত কর্মবিরতি পালন করছেন। বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সকল ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা। এরপর দুপুরে দেশের সব হাসপতাল শাটডাউনের ঘোষণা দেন তারা।