জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার অনুরোধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদের কাজ করার সুযোগ দিন। অন্তর্বর্তী সরকারকে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখে ফেরার সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
গতকাল রোববার রাতে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় হাসনাত আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হন। তাকে দেখে ফেরার সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে আন্দোলনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল আনসার সদস্য গায়ের জোরে ঢুকে পড়েছিলেন। যারা জীবন দিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে বুলেটের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিলেন, সেই ছাত্ররা এসেছিলেন তাঁদের কথা শোনার জন্য, শান্ত করার জন্য। কিন্তু তাঁরা সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে ছাত্রদের আঘাত করেন। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকে আহত হন।
দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আন্দোলন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ‘মাত্রই তো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এত দিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এত দিন দাবি জানাননি কেন? সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুটা সময় ধৈর্যধারণ করুন। তাদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিন। তাদের এভাবে ব্যতিব্যস্ত রাখলে কাজ করবে কীভাবে?’
হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম জনগণ মেনে নেবে না। এ ধরনের দুঃসাহস আবারও দেখালে জনগণ ক্ষমা করবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন প্রমুখ।