অবশেষে পরিচয় পাওয়া গেলো সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াই আলোচিত ভাইরাল সেই লাস্যময়ী নারী যে কিনা সাবেক ডেপুটি স্পীকার টুকু সহ পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের অনেক উচ্চ পদস্থ নেতাদের-ই মনোরঞ্জনের খোরাক ছিল। তার নাম মহিমা বিশ্বাস,পিতাঃ মৃত আব্দুর রউফ মালিথা, পাবনা জেলার সদর থানার শালগাড়িয়া, টি বি হাসপাতালের পাশে তার বাসা।
“সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বাসভবনে”
তিনি পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী এবং ডোনার , তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয় পাবনা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী হেলেনা’ এবং সাবেক মহিলা এম.পি জলি এর হাত ধরে। ধীরে ধীরে তার সম্পৃক্ততা বাড়ে সাবেক ডেপুটি স্পীকার টুকু সহ পাবনা জেলার সকল বড় বড় নেতা কর্মীদের সাথে।
“পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল এর আলোচনা সভায় মহিমা বিশ্বাস”
একাধিক সূত্রমতে তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের মনোরঞ্জন করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এমনকি আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়েছেন। নিজের এলাকায় করেছেন অসংখ্য চাঁদাবাজি। অপকর্ম, চাঁদাবাজি, এবং প্রভাব বিস্তার করার জন্য তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। তার বিরুদ্ধে এতদিনও এলাকার কেউ কথা বলতে পারেনি এবং থানায় অভিযোগও দায়ের করতে পারেনি। এমনকি তার হিংস্র থাবা থেকে বাচতে পারেনি তার নিজ পরিবারেরও অনেক সদস্য।
“পাবনা-৪ আসনের এম পি নুরুজ্জামান বিশ্বাস এর সাথে মহিমা বিশ্বাস”
উল্লেখ্য যে তিনি পাবনা জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল লাতিফ বিশ্বাস এর প্রাক্তন পুত্রবধূ। তার স্বামী মুক্তার বিশ্বাস ২০১৬ সালে মারা যায় কোনো উত্তরাধিকার না রেখেই সেজন্য তিনি ২০১৯ সালে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। একাধিক পুরুষ লোভী হওয়ায় এবং সাংসারিক মনোভাব না থাকায় ২০২২ সালে সেই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ডিভোর্স দেন।
এই বিষয়ে পাবনা জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল লাতিফ বিশ্বাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মহিমা বর্তমানে বিশ্বাস পরিবারের কেউ নয়। অতীতে তিনি বিশ্বাস পরিবারের পুত্রবধূ ছিল, কিন্তু আমার ছেলে মারা যাবার পর সে নিজ ইচ্ছায় অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। এরপর থেকে মহিমা এর সাথে আমার বা আমার পরিবারের কারোর সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা বা সম্পর্ক নেই। আমাদের পরিবার কোন রাজনৈতিক পরিবার না, আপনারা জানেন আমরা পাবনা জেলা এমনকি সমগ্র বাংলাদেশের এক স্বনামধন্য ব্যবসায়িক পরিবার।
“পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকন এর সাথে মহিমা বিশ্বাস”
মহিমা বিশ্বাস তার নিজ ইচ্ছায় রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে চলাফেরা করেছে এর পেছনে আমাদের পরিবারের কেউ জড়িত না।
মহিমা বিশ্বাস আমার বা আমার পরিবারের নাম ব্যবহার করে যদি কোন প্রকার চাঁদাবাজি এবং অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে তার সকল প্রকার অপকর্মের দায়ভার তার নিজের, এমনকি ভবিষ্যতে সে যদি বিশ্বাস পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে তবে অবশ্যই ভুক্তভোগীরা আইনগত ভাবে এর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এতে আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্যয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো।
সোর্স:
পাবনা টুডে ডট কম