ব্যাংকে ধনীদের জমানো টাকায় খরচ বাড়তে যাচ্ছে। ব্যাংকে রাখা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের স্তর ও হারে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
বর্তমানে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতিতে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হয় না। এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় ১৫০ টাকা এবং পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এই দুটি স্তরে কোনো পরিবর্তন আসছে না।
ব্যাংক হিসাবের টাকা বছরে অন্তত একবার এসব স্তর স্পর্শ করলে আবগারি শুল্ক দিতে হয়।
বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত যে স্তরটি রয়েছে, সেটি ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে তিনি ১০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গচ্ছিত টাকায় আগের মতোই তিন হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে রাখার প্রস্তাব করেন। আর ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত তিন হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা, এক কোটি টাকা থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা এবং দুই কোটি টাকা থেকে পাঁচ কোটি পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে এক কোটি টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসে।
কারো ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার যদি স্থিতি পাঁচ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে অতিক্রম করে, তাহলে সেই আমানতের ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ আগের মতো ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনও ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ যদি একবার এক লাখ টাকা বা তার ওপরের স্তরগুলোর সীমা স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। একাধিকবার স্পর্শ করলেও একবারই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। কোনো হিসাবে এক লাখ টাকার কম থাকলে কোনও আবগারি শুল্ক কাটা হয় না।
২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বশেষ ব্যাংকে থাকা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ বাড়ানো হয়।