ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের আদেশ আটকে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বৃহস্পতিবার হাই কার্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এর ফলে মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আদালত আদেশে বলেছে, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে যে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাও চলবে। এখন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও তদন্ত শেষ হওয়ার আগে তার ফল প্রকাশ করা যাবে না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গত ২৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা হয়। সংশোধিত ফলাফলে ৪৬ হাজার ১৯৯ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
কিন্তু তৃতীয় ধাপে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে অ্যাডভোকেট সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এক রিট আবেদনে মঙ্গলবার মৌখিক পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
তৃতীয় ধাপের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। গত ২১ এপ্রিল প্রকাশিত ফলাফলে ২৩ হাজার ৫৭ জনকে প্রথমে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছিল।
পরে জানা যায়, ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ভুল ছিল। যে কারণে পুনর্মূল্যায়ন করে রাতেই নতুন ফল প্রকাশ করে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ বলে জানানো হয়।